সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:৪০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৩
ক্রাইম প্রতিবেদক: সম্প্রতি তফসিল ঘোষিত ইউ/পি নির্বাচনি মাঠে জনপ্রিয় দুই সদস্য প্রার্থীর অজান্তে ও অদৃশ্য শক্তির ভুয়া আবেদনের প্রেক্ষিতে ভিন্ন ওয়ার্ডের ভোটার করার অভিযোগে ইউনিয়ন জুড়ে তোলপাড়। মানুষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন প্রার্থীদ্বয়। নেটিজেনের ওয়াল জুড়ে ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ। প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনের ডাক স্থানীয় ওয়ার্ড বাসীর। উপস্থিতের আশ্বাস দিলেন দলীয় উর্ধ্বতন নেতাকর্মী ও প্রশাসনের।
দেশজুড়ে জাতীয় পরিচয় পত্র ভুল সংশোধনীতে যখন ব থেকে র হলেই বিভিন্ন তথ্য প্রমাণসহ নানা বিড়ম্বনা শিকার তখন ভিন্ন ঘটনাটি জন্মদিলো সিলেট সদর উপজেলার ৩নং খাদিমনগর ইউনিয়ন এর ৫নং ওয়ার্ডে। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন এর ঘোষণা অনুযায়ী ১৯শে ফেব্রুয়ারী সকল প্রার্থীদের নমিনেশন দাখিল এর শেষ সময়। ইউনিয়ন এর ওয়ার্ড সদস্য নমিনেশন ফাইল প্রস্তুত কালে আঁতকে উঠেন জনপ্রিয় প্রার্থী। জানতে পারেন গত নির্বাচনে ভোটার তালিকার ১০৩ নং ভোটার হলেও আশ্চর্যজনক ভাবে বর্তমান তালিকায় তাহার ভোট মাইগ্রেট করা হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে।
মোঃ আব্দুল কাদির গত ২০১৬ সালের নির্বাচনে অল্প ভোটের ব্যবধানে বর্তমান সদস্য নাজিম উদ্দিন ইমরান এর নিকট পরাজিত হয়ে দ্বিতীয় হন। শুধু জন্মলগ্ন থেকে নয় পূর্বপুরুষরাও সেখাকার স্থানীয় ছিলেন। তিনি মহালদিক গ্রামের মরহুম আরজু মিয়ার ছেলে। এমন দুঃসংবাদ শুধু এই প্রার্থীর নয় একই ওয়ার্ডের জনপ্রিয় আরেক প্রার্থী সদ্য বিদায়ী ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ এর সাবেক সফল সভাপতি ও বর্তমান ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ এর সাধারণ সম্পাদক পদের অন্যতম প্রার্থী মোঃ মোক্তার হোসেন। তিনিও তিলে তিলে গোছানো মাঠে হোটচ খেয়ে এখন হতাশ। নমিনেশন ফাইল তৈরিতে একই বিড়ম্বনার শিকার। ধোপাগুলের পুরুষ ভোটার তালিকায় ৮৩নং ভোটের অধিকারী ছিলেন বর্তমান তালিকায় করা রয়েছে মাইগ্রেট। তিনিও পূর্বপুরুষ থেকে স্থানীয় ধোপাগুল গ্রামের বাসিন্দা। তাহার পিতা মরহুম চাঁন মিয়া জীবদ্দশায় দুই বার একই ওয়ার্ডে নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে ছিলেন।
প্রার্থীদের দীর্ঘদিনের ঘোচানো মাঠে অশুভ থাবা মানতে পারছেননা কেহ। সময় সল্পতার কারনে শুধু হতাশ নয় অন্ধকার দেখছেন প্রার্থী এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
এ নিয়ে ১৫ ই ফেব্রুয়ারী (মঙ্গলবার) বাদ এশা ধোপাগুল মুক্তার হোসেনের বাড়িতে স্থানীয় বিশিষ্ট মুরব্বিদের নিয়ে আয়োজিত। বিশিষ্ট মুরব্বি সুনাফর আলীর সভাপতিত্বে দুই প্রার্থীর প্রতি সমবেদনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৭ ফেব্রুয়ারী (শুক্রবার) বিকাল ৩ঘঠিকায় ধোপাগুলস্থ শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এক বিশাল প্রতিবাদী সভা ও মানববন্ধনের আয়োজন করেবেন স্থানীয় ওয়ার্ড বাসী। এতে ওয়ার্ড এর সকল নাগরিকসহ গণ্য-মান্য ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায় প্রার্থীদের অজান্তে ২০২১ সনে প্রার্থীদ্বয়ের জ্বাল স্বাক্ষরিত ভিন্ন ভিন্ন আবেদনে ইউনিয়ন পরিষদের প্রত্যায়ন পত্র, একই ইউনিয়ন এর ৬নং ওয়ার্ড সদস্য-কে শনাক্তকারীসহ ছয় পৃষ্ঠার ভুয়া তথ্য এবং ভিন্ন ভিন্ন মোবাইল নাম্বার সংযোজন করে তৎকালীন উপজেলা নির্বাচন অফিসার কাজি এমদাদুল হক থাকাকালীন। অদৃশ্য শক্তির গুণে ৬নং ওয়ার্ডের কালাগুল বস্তিতে স্থানান্তরিত করা হয়।
প্রয়োজন না থাকায় এতোদিন লোকান্তরিত ছিলো বিষয়টি। বর্তমানে দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এখন আবার স্থানান্তরিত হওয়াটা প্রায় অনিশ্চিত। সর্বশেষ বর্তমান নির্বাচন অফিসার এর পরামর্শ ও সর্বোচ্চ চেষ্টার আশ্বাসে ১৫ ফেব্রুয়ারী (মঙ্গলবার) ভুক্তভোগীরা বর্তমান ইউ/পি চেয়ারম্যান এর সহযোগিতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসার ফরহাদ হোসেন এর মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশন বরাবর আবেদন করা হয়।
এবিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ফরহাদ হোসেন এরসাথে মুঠোফোন একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
একাদিক বার নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান দিলোয়ার হোসেন বলেন ন্যক্কার জনক অনাকাঙ্ক্ষিত এমন দুঃসংবাদে আমিও বিস্মিত। বিষয়টি অতিব নিন্দনীয়। ঘটনাটি জানতে পেরে প্রার্থীদের সহযোগিতা করতে ছুটে যাই উপজেলা নির্বাচন অফিসে। দেখলাম সেখানকার প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ তথ্য ভুয়া এবং জাল। সাবেক অফিসার বহাল থাকলে প্রার্থীদের নিয়ে বিষয়টির কারনে জবাবদিহির সম্মুখীন করতাম। বর্তমান অফিসার ও সংশ্লিষ্টদের সামনে আমার প্রচেষ্টায় ভোটগুলো ফিরায়ে আনার কার্যক্রম সম্পাদন করেছি। যদি কোনো কারণে না আসে তবে চক্রান্তকারী ও সংশ্লিষ্ট সকলের সম্পূর্ণ দায়ভার বহন করতে হবে।
নিজ ভোটাধিকার রক্ষায় সবার সাহায্য কামনা করেন প্রার্থীরা। সেন্টারে ভোট স্থানান্তরিত করতে আইনি সকল পদক্ষেপ ও সর্বচ্চ চেষ্টার ঘাটতি নেই তাদের মাঝে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd