সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৩৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩
ক্রীড়া ডেস্ক: বাংলাদেশ জাতীয় দলে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ইতোমধ্যেই ঢাকায় এসেছেন লঙ্কান এই কোচ। ইংল্যান্ড সিরিজকে সামনে রেখে বাংলাদেশে আসার পরদিনই মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে শিষ্যদের পরখ করতে নেমে পড়েছেন ‘কড়া হেডমাষ্টার’ হাথুরু।
সাকিব-তামিমদের প্রধান কোচের পদ পূরণ হলেও হাথুরুসিংহের সহকারী পদে কে যোগ দিচ্ছেন, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা এখনও চলছে। গত দুই সপ্তাহ ধরেই জাতীয় দলের সহকারী কোচের বিষয়ে দেশের ক্রিকেট পাড়াও ছিল সরগরম। গত ২২ ফেব্রুয়ারি সহকারী কোচ চেয়ে বিজ্ঞাপনও দিয়েছে বিসিবি।
এ প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানান, ‘আমরা সহকারী কোচের জন্য আজ বিজ্ঞাপন দিয়েছি। আশা করছি দেশি ও বিদেশি যারা আগ্রহী, সবাই আবেদন করবেন। আমরা এটাই চাই। এই পজিশনে হলে তো হলোই। না হলেও আমরা অন্য জায়গায় সুযোগ করে দেবো।’
হাথুরুর সহকারী হিসেবে দেশের মধ্যে তিন কোচ রাজিন সালেহ, সোহেল ইসলাম ও আফতাব আহমেদের নামই বেশ জোরালভাবে শোনা যাচ্ছিল। তবে জানা গেছে, বিসিবির প্রকাশিত সহকারী কোচ নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেওয়ার তিন দিন পার হয়ে গেলেও দেশের সহকারী কোচের জন্য আলোচনায় থাকা ব্যক্তিরা এখনো আবেদনই করেননি।
সদ্য শেষ হওয়া বিপিএলের রানার্সআপ সিলেট স্ট্রাইকার্স দলের প্রধান কোচ ছিলেন রাজিন সালেহ। গত বছর ঘরের মাটিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে অন্তর্র্বতীকালীন ফিল্ডিং কোচের দায়িত্বে ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক এই ক্রিকেটার।
এদিকে বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের হেরে বিদায় নেওয়া রংপুর রাইডার্সের প্রধান কোচ সোহেল ইসলাম বিভিন্ন সময়ই জাতীয় দলের অন্তর্র্বতীকালীন স্পিন বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন।
তবে রংপুরের সহকারী কোচ আফতাব আহমেদ এখনো জাতীয় দলকে কোচিং করানোর সুযোগ মেলেনি। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ সফলতা পেয়েছেন এক সময়ে বাংলাদেশের তারকা এই ব্যাটসম্যান।
বাংলাদেশি এই তিন কোচই দেশের প্রথমসারির এক গণমাধ্যমকে সহকারী কোচের পদে এখনো আবেদন না করার কারণ কিংবা আদৌ আবেদন করবেন কি না সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
রাজিন সালেহ বলেন, ‘আমাকে যদি আসলেই প্রয়োজন হয় আমি কেন আবেদন করব। আসলে এটা একটা ভালো অপশন রাখা হয়েছে। কিন্তু আমি মনে করিনা যে, যদি আমাকে জরুরী মনে হয়, অবশ্যই আগে ফিল্ডিং কোচ হিসেবে প্রয়োজন মনে করেছিল তখন নিয়েছিল। সে সময় আবেদন করা লাগেনি। আমি মনে করিনা যে আবেদন করব। আমাকে যদি দেশের জন্য প্রয়োজন মনে করে আমি যাব, সমস্যা নাই। আমি তো দেশেরই মানুষ, আমাকে যখন মনে করবে দেশের জন্য কিছু দিতে পারব আমি প্রস্তুত।’
সোহেল ইসলাম বলেন, ‘না, আমি এখনো আবেদন করিনি। এখনো ওইভাবে চিন্তাও করি নাই কিছু, দেখি। এখানে আসলে জাতীয় দলের সঙ্গে লম্বা ট্যুরের ব্যাপার থাকে। তো আবেদন করার আগে অবশ্য পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে হবে, তারপর আর কি!’
এদিকে আফতাব আহমেদ আবেদন না করার কারণ হিসেবে জানিয়েছেন, ‘না, আমি এখনো করিনি। আবেদন করার সম্ভাবনা কম। এর কারণ হচ্ছে- সম্ভবত পরবর্তী মাসেই আমি আমেরিকা চলে যাচ্ছি। একেবারে না, তবে মোটামুটি পরিবার নিয়েই যাচ্ছি। এজন্য যেকোনো বিষয়ের আগে এই ব্যাপারটা বিবেচনায় রয়েছে। এছাড়া, বোর্ড থেকেও আমাকে কোনো কিছু জানানো হয়নি। আমি এখনও এসব বিষয়ে জানি না। জানলে হয়তো অন্য চিন্তা করব। গণমাধ্যম দ্বারাই শুনছি সব, অফিসিয়ালি আমাদের কানে এখনো কোনো কথা আসেনি।’
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd