অবৈধভাবে ধান ক্রয় করার অপরাধে গোয়াইনঘাটের খাদ্য কর্মকর্তা পলি প্রত্যাহার

প্রকাশিত: ৯:০৩ অপরাহ্ণ, মে ২০, ২০২৩

অবৈধভাবে ধান ক্রয় করার অপরাধে গোয়াইনঘাটের খাদ্য কর্মকর্তা পলি প্রত্যাহার

আলী হোসেন, গোয়াইনঘাট :: অবৈধ উপায়ে সুনামগঞ্জ থেকে ধান ক্রয় করার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় গোয়াইনঘাট উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক তথা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ওসিএলএসডি পলি দাসকে গোয়াইনঘাট থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রণের কার্যালয় সিলেটের ১৯/০৫/২০২৩ এর স্মারক নং ১৩.০১.০০০০.২০৫.১৯.০০২.১৯.৬৪০ এর আলোকে তাকে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণের কার্যালয় তাহিরপুরে বদলি করা হয়েছে।

অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা গোয়াইনঘাটের খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনোজ কান্তি দাস বলেন, সুনামগঞ্জ থেকে ধান ক্রয় করে গুদামে সংগ্রহের সুত্র নিয়ে বিভাগীয় একাধিক তদন্ত হয়েছে এবং নিরপেক্ষ তদন্তের স্বর্থে প্রশাসনিক কারনে পলি দাসকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে বদলি পূর্বক পদায়ন করা হয়েছে। তার স্থলে প্রশাসনিক প্রয়োজনে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া খাদ্যনিয়ন্ত্রকের অফিসের খাদ্য পরিদর্শক তথা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস শহীদ মাহবুবকে গোয়াইনঘাট খাদ্যনিয়ন্ত্রকের অফিসে বদলিপূর্বক পদায়ন করা হয়। আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান দায়িত্ব হস্তান্তর গ্রহনের নির্দেশ রয়েছ।

অন্যতায় উক্ত সময় পর তারা ত্যৎক্ষনিক অবমুক্ত হিসাবে গণ্য হবেন মর্মে সিলেটের জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস আদেশে (১৯ মে ২০২৩) উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১৬ মে) সকাল ১০টায় উপজেলার পূর্নানগর খাদ্য গুদামে ট্রাকভর্তি ২৬০বস্তা ধান গুদামে লোড হওয়ার খবর চারিদিকে চাউর হলে এলাকার কৃষকেরা পূর্নানগর খাদ্যগুদামে জড়ো হন। ওই সময় খাদ্য গুদামের সংশ্লিষ্ট কাউকে সেখানে পাওয়া যায়নি। অবৈধভাবে খাদ্য গুদামে ধান মজুদের খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক আহমদ ধানগুলো আটক করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুবাস চন্দ্র পাল ছানা ও গোয়াইনঘাট থানার এসআই জহির। উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপস্থিত হয়ে ২৬০ বস্তা ধান আটক করা হয়। স্থানীয় কৃষকরা গোয়াইনঘাট খাদ্য গুদামে বোরো ধান বিক্রি করতে চাইলে ধান শুকানোর অজুহাতে তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে অনেকে তার কাছে অভিযোগ করেন।

তিনি আরও বলেন, আমি ঐ ঘটনা জানার সাথে সাথে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানিয়েছি। নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নে পরিদর্শনে ছিলেন। তাৎক্ষণিক বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানিয়ে নিজে উপস্থিত হয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের কার্যক্রম গ্রহণ করেন। এ সময় জেলা খাদ্য কর্মকর্তা এসেও উপস্থিত হন।

অন্যদিকে, গোয়াইনঘাটের কৃষকরা তাদের ধান বিক্রি করতে পারছেন না বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের দূর্নীতির কারণে গোয়াইনঘাটের কৃষকদের ধান ক্রয় না করে নিজেরাই ব্যবসায় জড়িত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..