দোয়ারাবাজারে রাস্তার বেহাল দশা: আশ্বাস আছে, বাস্তবায়ন নেই!

প্রকাশিত: ৪:২৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১, ২০২৩

দোয়ারাবাজারে রাস্তার বেহাল দশা: আশ্বাস আছে, বাস্তবায়ন নেই!

দোয়ারাবাজার সংবাদদাতা: নামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে মাত্র তিন কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার বিভিন্ন স্থানে রয়েছে কাদামাটির স্তুপ। হেমন্তে যেমন তেমন, বর্ষাকালে একটুখানি বৃষ্টিতেই গাদা গাদা কাদামাটির আস্তরণ আর পথচারীদের বিচরণে স্মরণ করিয়ে দেয় এখনই যেন ধান রোপণের উপযুক্ত সময়। এ অবস্থায় যান চলাচল করা তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে চলাচল করাটাই বড় মুশকিল। তবুও বাধ্য হয়েই ওই রাস্তায় চলাচল করছেন শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও চাকুরীজীবিসহ ভুক্তভোগীরা। দ্রুত রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি জানান এলাকাবাসী।

 

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ১নং বাংলাবাজার ইউনিয়নের পালইছড়া, বাঘমারা ও বিখারগাও গ্রামের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বাংলাবাজার-পাইকপাড়া সড়ক হতে পালইছড়া গ্রাম হয়ে বাঘমারা-পাইকপাড়া রাস্তার ধরমপুর মসজিদের সামনে মিলিত হয়েছে। কর্দমাক্ত ও পিচ্ছিল কাঁচা রাস্তাজুড়ে বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দ থাকায় খালি পায়ে ঝুঁকি নিয়ে হাঁটছেন পথচারীরা। কিন্তু জরুরি কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, ভ্যানগাড়ীকে খানাখন্দে আটকা পড়তে দেখা যায়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা সদরসহ এলাকার বিভিন্ন হাট-বাজারে যোগাযোগ ক্ষেত্রে একমাত্র ভরসা হচ্ছে ওই কাঁচা রাস্তাটি। কিন্তু মাত্র ৩ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ না হওয়াতে চরম বিপাকে পড়েছেন এলাকাবাসী।

 

স্থানীয়রা জানান সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। বছরের পর বছর এলাকাবাসী স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বরাবরে আবেদন জানালেও কোনো ফল হয়নি। তাই আবারো জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি দ্রুত পাকাকরণের জন্য সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

 

উপজেলা প্রকৌশলী মো: মনছুরুল হক জানান, রাস্তাটি খোঁজ নিয়ে দেখবো।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..