জামালগঞ্জে শিশুকে বলাৎকারের চেষ্টা, ইউনানী ঔষুধ বিক্রেতা ফয়সল পলাতক

প্রকাশিত: ৭:১৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৭, ২০২৩

জামালগঞ্জে শিশুকে বলাৎকারের চেষ্টা, ইউনানী ঔষুধ বিক্রেতা ফয়সল পলাতক

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : জামালগঞ্জে আট বছরের এক শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকার করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে পাশবিক নির্যাতন করে পালিয়ে গেছেন এক মাওলানা। এ ঘটনায় জামালগঞ্জ থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়। অভিযুক্ত মাওলানা কামরুল ইসলাম ফয়সল জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের মানিগাও গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। সে জামালগঞ্জের নতুনপাড়ায় জাওয়াদ ফার্মেসীর ইউনানী ঔষুধ বিক্রেতা।

ভুক্তভোগীর স্বজন ও স্হানীয় সূত্রে জানা যায়, শিশু শিক্ষার্থী গত ২ আগষ্ট বুধবার ফুফুর বাড়িতে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে বেড়াতে যায়। ফুফুকে না পেয়ে পুনরায় বাসায় ফেরার পথে প্রচন্ড বৃষ্টির কবলে পড়ে। এসময় সে জাওয়াদ ফার্মিসীতে আশ্রয় নিলে ফার্মেসীর মালিক মাওলানা কামরুল ইসলাম ফয়সল শিশুটিকে একা পেয়ে বলাৎকারের চেষ্টা করে।

এসময় শিশু সাঈদ নিজেকে রক্ষা করতে দৌঁড়ে পালিয়ে গেলে পিছন দিক থেকে ধাওয়া করে মাওলানা ফয়সল তাকে ধরে হাতের কনুই দিয়ে মেরুদণ্ডে স্ব – জুড়ে আঘাত করে। এবং মাথা নিচু করে দু-হাত উল্টো করে কিল ঘুষি মারে। গলায় ধরে শ্বাসরুদ্ধ করে প্রাণে মারার চেষ্টা করে। এসময় শিশু সাঈদের চিৎকারে স্হানীয় লোকজন ও তার মা এগিয়ে এসে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পর শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কার্যক্রম (ওসিসি) সেন্টারে চিকিৎসা নেয়।

এ ব্যাপারে ভিকটিম বলেন, আমি ফুফুর বাসা থেকে আসার সময় ফার্মেসির মোল্লা ফয়সল আমাকে প্যান্টে ধরে টানাটানি করেছেন। তারপর আমি দৌঁড়ে বাসার সামনে আসলে মোল্লা আমাকে ধরে নিয়ে গিয়ে কনুই দিয়ে শরীরে আঘাত করে। গলায় ধরে চাপ দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে রেখেছেন, কিল ঘুষি মেরে অজ্ঞান করে। তারপর আমি আর কিছু বলতে পারিনা।

ভিকটিমের বাবা জানান, আমার ছেলেকে মাওলানা কামরুল ইসলাম ফয়সল পাশবিক নির্যাতন করেছে। এবং তাকে বলাৎকার করার চেষ্টা করেছে। আমার ছেলে রাজি না হওয়ায় তাকে ধরে অমানবিক নির্যাতন করে প্রাণে মারার চেষ্টা করেন এই মাওলানা। ঘটনার পর থেকেই মাওলানা ফয়সল পলাতক রয়েছেন। আমি তার বিচার চাই।

অভিযুক্ত মাওলানা ফয়সালের ভাই রুমিন জানান, শিশুটিকে এভাবে মারা ঠিক হয়নি। বলাৎকারের ঘটনাটি সত্য নহে। এ ধরনের হীন কাজ করে থাকলে আমিও তার বিচার চাই।

জামালগঞ্জ থানার ওসি মীর আব্দুন নাসের জানান, এ ব্যাপারে আমার কাছে কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি,অভিযোগ দায়ের করলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্হা নেওয়া হবে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..