সিলেট ৩১শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:৩০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১০, ২০২৩
ক্রাইম প্রতিবেদক: সিলেটে প্রকাশ্যে ভারত থেকে আসছে চোরাই চিনি। শুধু রাতে নয় দিনের আলোতেও হাজার হাজার বস্তা চোরাই চিনি ভারত থেকে নিয়ে আসছে চোরাকারবারীরা। অভিযোগ উঠেছে এসব হচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়! এদিকে আইনশৃংখলা বাহিনী বলছেন চিনি চোরাচালান বন্ধে তারা রয়েছেন তৎপর।
ভারত থেকে রাতের অন্ধকারে প্রতিদিন বাংলাদেশে ঢুকছে চোরাই চিনি এমনকি সেই চিনির বস্তা বদল হয় এখানে নতুবা শাহপরান থানাধীন বটেশ্বর পুরাতন বাজারে রদবদল হয় এসব ভারতীয় চোরাই চিনির বস্তা। জৈন্তাপুর উপজেলার পায়রাখৈল সীমান্ত দিয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে দেশে আসছে ভারতীয় চোরাই চিনি। চোরাকারবারীরা পিঁপড়ার মতো দল বেঁধে ভারত থেকে নিয়ে আসছে চোরাই চিনি। এই চোরাকারবারীদের প্রতি দলে রয়েছে ১০/১৫ জনের সদস্য। যারা মূলত বিশেষভাবে বাধানো ফিতায় ৫০ কেজি চিনির বস্তা মাথায় ঝুলিয়ে পিঠের উপর ভর রেখে বহন করা হয়।
গোয়াবাড়ি পায়রাখৈল সীমান্তের মতো দিনের বেলায় চোরাই চিনিসহ ভারতীয় পন্য চোরাচালানের প্রধান রুট হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে লালাখাল রাবার বাগান। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চিনি চোরাচালানের নিরাপদ রুট হিসাবে রাবার বাগানকেই চোরাকারবারীরা বেচেঁ নিয়েছে। তাদের প্রতিটি দলে রয়েচে ২জন করে গার্ড। কেউ বাঁধা কিংবা চোরাচালানের ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে গেলেই গার্ডের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের দায়ের কুপে আহত কিংবা মৃত্যুর পথযাত্রীও হতে হয়। দিন কিংবা রাত যখনই চিনি ঢুকবে তখনই ম্যানেজ করতে হয় প্রশাসনকে এরমধ্যে চোরাই চিনির বস্তা প্রতি কেউ নেয় ২০০ টাকা আবার কোন বাহিনীকে ম্যানেজ করতে হয় ২৫০ টাকায়। এছাড়াও সিলেট শহরে চোরাই চিনি নিয়ে বিনা বাধায় ঢুকার জন্য শহরতলীর ছাত্র সংগঠনের কথিপয় কিছু বখাটে নেতাদের দেওয়া হচ্ছে গাড়ি প্রতি ৫ হাজার করে চাঁদা।
এব্যাপারে সিলেট সিটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম সাগর গণমাধ্যমে বলেন- চোরাই চিনি বস্তা প্রতি কোন থানায় ১২০ ও কোন থানায় ১৬০ টাকা আবার কোন থানায ১৪০ টাকা করে পুলিশের লাইনম্যানের হাতে দিতে হয় এরপর শুধু পুলিশ নয় তাদের পাশাপাশি রয়েছে বিজিবির নির্ধারিত লাইনম্যানও আর বিজিবি বস্তা প্রতি টাকা তুলেন তারা। এভাবে ৪টা হাত রদবদল হয়ে মাল আসে বলে জানান তিনি।
ভারতীয় চিনি প্রতিদিন সিলেটে ঢুকলেও সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি বলছেন চোরাচালান বন্ধের চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছেন তারা।
এব্যাপারে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান গণমাধ্যমে বলেন- চিনিটা কিন্তু ভারত থেকেই আসছে। প্রথম হলো ভারতের পুলিশ আছে সেটা পাস হচ্ছে। তারপর ভারতের বিএসেফ পাস হচ্ছে তারপর আবার বাংলাদেশের বিজিবির বর্ডার গার্ড পাস হচ্ছে এরপর দেশের ভিতরে আসছে। পুলিশের যে অসুবিধা হয় যখন এগুলো পুলিশ ধরে অনেকে কিন্তু আবার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় বলে তিনি জানান।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd