সিলেট ৩১শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:১৪ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১৩, ২০২৩
নিজস্ব সংবাদদাতা: সিলেট শহরতলির বহর কলোনীস্থ বারাকা আবাসিক এলাকার একটি মাদরাসার এক শিশু বলাৎকারের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা শিশু বলাৎকারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। ঘটনার পর থেকে স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মামলা তুলে নেয়ার জন্যে শিশুটির পরিবারকে নানান হুমকী দিচ্ছে। ফলে শিশুটির পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন।
বলাৎকারের শিকার ১১ বছর বয়সের শিশুটির পরিবার বহর আবাসিক এলাকায় বসবাস করেন। শিশুটিকে বারাক আবাসিক এলাকার জামেয়া ইসলামিয়া জিননুরাইন মাদরাসায় হিফজ বিভাগে ভর্তি করেন পরিবারের লোকজন। মাদরাসাটির প্রিন্সিপাল জাহিদ উদ্দিন।
শিশুটির পাবিারিক সূত্র জানায়- প্রিন্সিপাল জাহিদ উদ্দিন প্রায় সময় শিশুটিকে বেড়ানোর কথা বলে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার কথা বলতেন। বিষয়টি পরিবারকে জানায় শিশুটি। পরিবার থেকে অনুমোতি পেয়ে শিশুটি গত ৪ আগস্ট প্রিন্সিপাল জাহিদের সাথে বেড়াতে বের হয়। প্রিন্সিপাল জাহিদ উদ্দিন শিশুটিকে নিয়ে সিলেট নগরীর মিরবক্সটুলাস্থ সিলেট ইন আবাসিক হোটেলের একটি কক্ষ ভাড়া নেয়। ওই কক্ষে যাওয়ার পর শিশুটিকে কোমল পানি খেতে দেয় প্রিন্সিপাল জাহিদ। এর পর শিশুটি আর কিছু বলতে পারে না। কোমল পানীয় পান করার পর শিশুটি জ্ঞান হারায়। রাতভর শিশুটির উপর বলাৎকার চালায় জাহিদ উদ্দিন।
পরদিন ৫ আগস্ট সকালে জ্ঞান ফেরে শিশুটির। পায়ুপথে তীব্র ব্যথা অনুভব করে শিশুটি। বাড়িতে ফিরে গিয়ে শিশুটি ঘটনা জানায় পরিবারের সদস্যদের। ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে উঠেন। মাদরাসা ঘেরাও করেন শতশত মানুষ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। জনতার রোষানল থেকে উদ্ধার করে প্রিন্সিপাল জাহিদকে। শিশুটিকে ভর্তি করা হয় ওসমানী হাসপাতালে।
ঘটনার পর সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন শিশুটির বাবা। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে প্রিন্সিপাল জাহিদ উদ্দিনকে কারাগালে পাঠায় পুলিশ।
এদিকে ওই ঘটনার পর থেকে স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী শিশুটর পরিবারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তারা শিশুটির পরিবারকে নানান ধরণের হুমকী দিয়ে আসছে। স্থানীয়রা জানান, লম্প জাহিদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা তুলে নেয়ার জন্যে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। অন্যথায় পরিবারটিকে চরম মাশুল দিতে হবে বলে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এই অবস্থায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন শিশুটির পরিবার।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd