ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এক হলেন আরব নেতারা

প্রকাশিত: ৮:০২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২১, ২০২৩

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এক হলেন আরব নেতারা

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নির্বিচার বোমা হামলা বন্ধের চেষ্টা হিসেবে মিসরে শুরু হয়েছে শান্তি সম্মেলন। এই সম্মেলনে পশ্চিমাদের দ্বিমুখী হিসেবে অভিহিত করেছেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি। এছাড়া ইসরায়েলের কড়া সমালোচনা করেছেন জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহও। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসাও ইসরায়েলের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন।

শনিবার (২১ অক্টেবর) মিসরের রাজধানী কায়রোতে শুরু হওয়া এই সম্মেলনে আরব বিশ্বের নেতারা একত্রিত হয়েছেন। এছাড়া এতে যোগ দিয়েছেন আফ্রিকার ও ইউরোপের দেশগুলোর প্রতিনিধিরাও।

পশ্চিমাদের সমালোচনা করে মিসরের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা আজ কায়রোতে মিলিত হয়েছি খুবই কঠিন একটি পরিস্থিতিতে। যেটি আমাদের মানবিকতা এবং মানবিকতার ওপর বিশ্বাসের দাবির পরীক্ষা নিচ্ছে।’

‘কয়েকশ বছর ধরে আমরা যে মানবিক সভ্যতার নীতি তৈরি করেছি সেটি কোথায়? দ্বিমুখী নীতি ছাড়া কোথায় নিরীহ মানুষের সমতা?’

‘মিসর পরিষ্কারভাবে এবং প্রকাশ্যে শান্তিপ্রিয় বেসামরিক মানুষদের হত্যার নিন্দা জানায়।’ তিনি জানিয়েছেন, গাজার সাধারণ মানুষের ওপর সামরিক আগ্রাসন চলার সময় যে বিশ্ব চুপ করে থাকতে পারে— এ বিষয়টি তাকে আশ্চর্য করেছে।

তিনি আরও বলেছেন, গাজার বাসিন্দাদের (মিসরের) সিনাই উপত্যকায় স্থানান্তরের বিষয়টির বিরোধিতা করে তার দেশ। কারণ তাদের সিনাইয়ে নিয়ে যাওয়া হলে ফিলিস্তিনিরা আর কখনও স্বাধীন রাষ্ট্র পাবেন না।

অপরদিকে জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ ইসরায়েলের বোমা হামলার সমালোচনা করে বলেছেন, ‘গাজায় অব্যাহত বোমা হামলা সবদিক বিবেচনায় নিষ্ঠুরতা। এটি অবরুদ্ধ ও নিরীহ মানুষের ওপর সামষ্টিক শাস্তি। যা আন্তর্জাতিক আইনের সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন। এটি যুদ্ধাপরাধ। নিষ্ঠুরতার মাত্রা যত ছাড়াচ্ছে বিশ্ব যেন এটির ওপর ততই কম নজর দিচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অন্য কোথাও যদি বেসামরিক অবকাঠামোতে হামলা এবং ইচ্ছাকৃতভাবে মানুষকে ক্ষুধার্ত রাখা, বিদ্যুৎ, পানি ও প্রয়োজনীয় পণ্য থেকে বঞ্চিত করা হতো তাহলে এর নিন্দা জানানো হতো। তাৎক্ষণিকভাবে দোষীদের দায়ী করা হতো। অন্য দ্বন্দ্বগুলোর ক্ষেত্রে এটি করা হয়েছে। কিন্তু গাজার ক্ষেত্রে নয়।’

জর্ডানের বাদশা বলেন, ‘ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের ক্ষুধার্ত রাখছে। কিন্তু গত কয়েক দশক ধরে ফিলিস্তিনিরা স্বাধীনতা, আশা ও ভবিষ্যতের জন্য ক্ষুধার্ত হয়ে আছে।’

‘ইসরায়েলের বোমা হামলা বন্ধ হওয়ার পর তাদের কখনও দায়ী করা হয় না। দখলদারিত্ব ও অবিচার চলতে থাকে এবং পরবর্তী সংঘাত শুরু না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ব দূরে থাকে,’ যোগ করেন তিনি।

জর্ডানের এই বাদশা বলেন, ফিলিস্তিনি সংকটের কোনও রাজনৈতিক সমাধান করতে না পারার কারণেই আজ এই রক্তক্ষরণ দেখা যাচ্ছে।

সূত্র: আল জাজিরা।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

October 2023
S S M T W T F
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..