সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:২৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৮, ২০২৩
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক: বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দলটির নেতাকর্মীরা পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সাথে সংঘর্ষে জড়ান। হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় ইতোমধ্যে এক পুলিশ সদস্য নিহত ও সাংবাদিক, পুলিশ বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মী সহ অনেকেই আহত হয়েছেন।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে বেশ কয়েক স্থানে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়া ও সাউন্ড গ্রেনেডের বিকট শব্দের মধ্যে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশের মঞ্চ ছেড়ে যেতে বাধ্য হন কেন্দ্রীয় নেতারা। কাঁদানে গ্যাসের কারণে সমাবেশস্থলে কারও পক্ষে টিকে থাকা সম্ভব ছিল না। প্রতিবাদে আগামীকাল সারাদেশে সকাল সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে দলটি।
এদিকে বিএনপির ডাকা হরতালকে প্রতিহতের ঘোষণা এসেছে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ থেকে। তিনি বলেন, বিএনপি আগামীকাল হরতাল ডেকেছে। আমরা এ হরতাল মানি না। আমরা রাজপথে থেকে এ হরতাল প্রতিরোধ করব।
এ ছাড়া বিএনপির ডাকা হরতালের প্রতিবাদে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। কর্মসূচি অনুযায়ী, রোববার সারা দেশে শান্তি সমাবেশ করবে দলটি। শনিবার (২৮ অক্টোবর) দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
দিনভর হামলা পাল্টা হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শেষ বিকেলে বিএনপির ডাকা হরতাল এবং আওয়ামী লীগের প্রতিহতের ঘোষণার মধ্যে দিয়ে দিন শেষ হলেও এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ঢাকায়। বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে সারাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা ঢাকায় এসেছিলেন। তারা এখনও ঢাকা ছেড়ে যাননি, ফলে যেকোনো সময় ঢাকার অলিগলি কিংবা রাজপথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে।
এদিকে বিএনপি আগামীকাল রবিবার হরতাল ডেকেছে। রবিবার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবে অফিসগামী মানুষের চাপ বেশী থাকে। হরতাল এবং তা প্রতিহতের যে ঘোষণা এসেছে তাতে করে অফিসগামী মানুষের মনে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
এছাড়া বিএনপি হরতালের ডাক দিলেও গণপরিবহন চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা বাস মালিক সমিতি।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আগামীকাল ঢাকাসহ সারাদেশে সংঘাতের আশঙ্কা করছেন তারা। তারা মনে করেন, বিএনপির ডাকা প্রতিটা কর্মসূচী প্রতিহত করতে ঢাকার মোড়ে মোড়ে মহড়া দেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংঘটন। প্রায় প্রতিটি কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের সাথে সংঘাতের যে সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে তাতে ঘর থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ কেন্দ্র করে যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে শঙ্কা দানা বেধেছে। ফলে মানুষ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার অলিগলি ও রাস্তায় জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছেন না। রাস্তায় ব্যক্তিগত ও গণপরিবহনের চলাচল বেশ কম দেখা যায়।
রাজধানীর মিরপুর এলাকার বাসিন্দা শাওন হাসান বলেন, হরতাল এবং তা প্রতিহতের যে ঘোষণা এসেছে তাতে স্বাভাবিক ভাবেই ভয় কাজ করছে। সামনে নির্বাচন ফলে এ সময় রাজনীতি এমনিতেই উত্তপ্ত থাকবে। এরমধ্যে প্রধান ২টি দল যে মুখোমুখী অবস্থানে দাঁড়াচ্ছে তাতে আমার মতো সাধারণ নাগরিকদের দুর্ভোগ বাড়বে এটা বলাই যায়।
বেসরকারি অফিসের কর্মরত নজরুল ইসলাম বলেন, হরতালে সবচেয়ে বড় সমস্যা পরিবহণ। যারা হরতাল ডাকে তাদের লক্ষ্য থাকে পরিবহন বন্ধ রাখা। ফলে তারা বাস ট্রাকে হামলা চালায় আর প্রাণ যায় সাধারণ মানুষের।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd