গোয়াইনঘাটে থানা পুলিশের নামে জুবেরের বেপরোয়া চাঁদাবাজি!

প্রকাশিত: ৩:৩৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৩, ২০২৪

গোয়াইনঘাটে থানা পুলিশের নামে জুবেরের বেপরোয়া চাঁদাবাজি!

ক্রাইম প্রতিবেদক: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ১১নং মধ্য জাফলং ইউনিয়নের সিড়িরঘাট,হাজীপুর,লামা পুঞ্জি,প্রতাপপুর বিজিবি ক্যাম্প এর সামনের রাস্তা,নকশিয়া পুঞ্জি,জিরো পয়েন্ট,কাটারি রাস্তা ও জাফলং চা বাগান হয়ে এ ইউনিয়ন ও পার্শবর্তী ইউনিয়নের প্রায় ২২টি চোরাই পথে আসছে ভারতীয় পণ্য মাদক, কসমেটিকস, কীট ও বিভিন্ন ব্রান্ডের শাড়ি ত্রীপিস এবং বাংলাদেশ থেকে যাচ্ছে পচা সুপারি।

 

চোরাই পথে আসা এসকল পণ্যের সরকারি কোন বৈধতা না থাকলেও স্থানীয় থানাপুলিশ নিজেদের ফোর্স ও স্থানীয় সরকারদলীয় জনবল নিয়োগ দিয়ে চোরাইপথে আসা ভারতীয় পণ্যের উপর দৈনিক কোটি কোটি টাকা আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

স্থানীয় সুত্র ও ডিবি পুলিশের সাবেক লাইনম্যান বর্তমান থানাপুলিশের লাইনম্যান জুবের ভারতীয় চোরাচালান থেকে থানাপুলিশের নামে দৈনিক লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করে আসছেন বলে বিষয়টি শিকার করেছেন,এবং বলেছেন তার সাথে জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুরের রুবেল মেম্বার নামের এক ব্যক্তি জড়িত রয়েছেন,তিনি আরো জানান,পুলিশের লাইন মাসোহারা ১৩ লক্ষ টাকা দিয়ে থানাপুলিশের সাথে চুক্তি করে অগ্রীম টাকা পরিশোধ করেই আমরা ভারতীয় চোরাচালান থেকে স্থানীয় পুলিশের নামে চাঁদা আদায় করে আসছি।শুধু আমার নামে নিউজ করে লাভ কি! নিউজ করতে হলে ১৩ লক্ষ টাকা অগ্রীম নিয়ে যাঁরা আমাদের লাইন দিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধেও লিখুন।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, কথিত পুলিশের লাইনম্যান জুবের আহমদ উপজেলার হাতির পাড়া গ্রামের বাসিন্দা, সে আগে নোহা গাড়ির চালক ছিলো মাঝেমধ্যে সে তার নোহা গাড়ি দিয়ে মাদক চোরাচালানে সক্রিয় থাকায় এবং তার মামারা স্থানীয় সরকারের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার সুবাদে প্রশাসনের সাথে তার ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

 

পুলিশের নামে দৈনিক লক্ষ লক্ষ টাকা প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় করেও দিনের বেলায় এলাকায় দাপটের সাথে ঘুরে বেড়ায় জুবের।

 

জানা যায়, ১১নং মধ্য জাফলং ইউনিয়নের কাপাউরা গ্রামে তার মামার বাড়িতে থেকে দীর্ঘদিন ধরে ডিবি উত্তর জোনের নামে ভারতীয় চোরাচালান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি করে আসছিলো।

 

সম্প্রতি বিষয়ে গোয়াইনঘাটের দুই অনুসন্ধানী প্রতিবেদকের মাধ্যমে স্বীকারোক্তির একটি ভিডিও এবং সিলেটের আরেক প্রতিবেদকের কাছে লাইনম্যান জুবেরের চাঁদাবাজির একটি অডিও স্বীকারোক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ডিবি পুলিশ তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন।

 

পরে গোয়াইনঘাট থানাপুলিশের সাথে মাসিক ১৩ লক্ষ টাকা অগ্রীম পরিশোধ করে উপরোক্ত চোরাচালানের উপর পুলিশের নামে চাঁদা তুলতে মাঠে রয়েছেন গোয়াইনঘাট থানাপুলিশের লাইনম্যান জুবের। এসকল অপরাধের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ততার কল রেকর্ড ও একাধিক সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরেও টনক নড়ছে না স্থানীয় থানাপুলিশ কিংবা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের।

চোরাচালান ও পুলিশের নামে উপরোক্ত ব্যক্তির চাঁদাবাজির বিষয়ে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আমি ছুটিতে আছি।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

January 2024
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..