মন্নান মেম্বারের নেতৃত্বে ফের সরগরম গোয়ানঘাট সীমান্তের চোরাচালান!

প্রকাশিত: ৩:৫৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৩, ২০২৪

মন্নান মেম্বারের নেতৃত্বে ফের সরগরম গোয়ানঘাট সীমান্তের চোরাচালান!

ক্রাইম প্রতিবেদক: সিলেট জেলার গোয়ানঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং সীমান্তে চোরাকারবারীদের গডফাদার মন্নান মেম্বারের নেতৃত্বে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ডিবি পুলিশ ও থানা পুলিশের নামে চোরাচালান ব্যবসা থেকে চলছে জমজমা চাঁদাবাজি।

 

গুচ্ছ গ্ৰাম, লাল মাটি, আমতলা, সোনা টিলা, তামাবিল স্থলবন্দর, এলাকা দিয়ে, চিনি ,চা পাতা, কসমেটিক শাড়ি, থ্রিপিস, লেহেঙ্গা, মোবাইলফোন, মদ,ইয়াবা, ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্য। ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে। মান্নান মেম্বারের নেতৃত্বে জমজমাট চলছে চোরাচালান ব্যবসা।

 

মেম্বারের নেতৃত্বে ভারত থেকে বাংলাদেশে এসকল পন্য সামগ্রী নিয়ে আসছে নিরাপদে নেই কোন বাধা। এসব এলাকায় ভারতীয় নিষিদ্ধ পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করা নিষেধ থাকলে ও নেই তাদের কোন বাধা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাকের ডগায় দাপটের সাথে মেম্বারের নেতৃত্বে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের চোরাচালান ব্যবসা।

 

তাতে লাভবান হচ্ছেন চোরাকারবারিদের লাইনম্যান মন্নান মেম্বার। মন্নান মেম্বারের নিয়ন্ত্রণে একেক সময় একেক পথ ব্যবহার করে ভারত থেকে আনা ভারতীয় পণ্য ও ব্র্যান্ডের মালামাল নিয়ে আসলেও অদৃশ্য কারণে তা দেখেও দেখে না থানা পুলিশ। এসব নিয়ন্ত্রণ করতে মন্নান মেম্বারের রয়েছেন লাঠিয়াল বাহিনী তাদের ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতেও নারাজ।

 

কেউ মুখ খুললে তাদেরকে ভয় ভীতি দেখান এবং বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে পুলিশের যোগসাজশে তাদেরকে জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন মন্নান মেম্বার সিন্ডিকেট।

 

এলাকার সাধারণ জনতা ও সচেতন নাগরিকরা এদের কাছ থেকে রেহাই পেতে চান। প্রশাসনের সাথে তাদের সম্পর্ক থাকার কারণে দাপটের সাথে চোরাকারবারীও চোরাচালান ব্যবসীদের কাছ থেকে প্রতি কিট থেকে ৫০০টাকা করে চাঁদা আদায় ও চিনির বস্তা থেকে ৩০০টাকা করে চাঁদা আদায় করতে সক্ষম মন্নান মেম্বার। অল্প কয়েকদিনে কোটি কোটি টাকার মালিক লাইনম্যান মন্নান মেম্বার সিন্ডিকেট।

 

এদিকে ভারত থেকে চোরাই পথে কোটি কোটি টাকার মালামাল বাংলাদেশ আসছে আর তাতে বাংলাদেশ সরকার হারাচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব।

 

তামাবিল ও সংগ্রাম সীমান্তের লালমাটি ও গুচ্ছ গ্রাম, আমতলা, সোনা টিলা, তামাবিল স্থলবন্দর সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় নিষিদ্ধ পণ্য বাংলাদেশে আসছে নিরাপদে।

 

কয়েকদিন পূর্বে ৭১ টিভি সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে চিনি সহ একটি অটো গাড়ি আটক করা হলে মন্নান মেম্বারের সহযোগিতায় চোরাকারবারীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

 

এব্যাপারে জানতে তামাবিল ক্যাম্প কমান্ডারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান- এ বিষয়ে আমি অবগত নয় বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

 

সংগ্রাম ক্যাম্প কমান্ডারের মোঠুফোনে একাদিগ বার ফোন দিলে ফোন রিসিভ করেননি সেই জন্য বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

 

এব্যাপারে জানতে মন্নান মেম্বারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি নিজের কথা অস্বীকার করে জানান- আমার এক ভাতিজা সিরাজুল ও আরেক ভাতিজা এসবের সাথে জড়িত, আমি না।

 

এব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামের সরকারি মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমি ছুটিতে আছি।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

January 2024
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..