সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:১৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৬, ২০২৪
সাইফুল ইসলাম বাবু :: দৈনিক জৈন্তাবার্তা পত্রিকার চিফ রিপোর্টার ও ক্রাইম সিলেটের সম্পাদক মো আবুল হোসেনের কল্যাণে ১০ দিন পূর্বে নিখোঁজ হওয়া রফিকুন বেগমকে (৬৫) খুঁজে পেলো তার পরিবার।
ছেলে আবদুল মজিদ (৪৫) জানান তার মা রফিকুন বেগম মানসিক ভারসাম্যহীন। গত ১০দিন পূর্বে তিনি নিজ বাড়ী থেকে নিঁখোজ ছিলেন। তার বাড়ী গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের মাতুরতল বাজার এলাকার মনাইকান্দি গ্রামে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫শে জানুয়ারি) সকালে জৈন্তাপুর উপজেলার ২ নং জৈন্তাপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কেন্দ্রী গ্রামে মিনাটিলা এলাকায় ভারতীয় সীমান্তের নিকট হতে অসুস্হ অবস্হায় রফিকুন বেগমকে উদ্ধার করে মিনাটিলা বিওপি ক্যাম্পের সদস্যরা। পরে স্হানীয় ইউ পি সদস্য আব্দুল হালিমের নিকট বৃদ্ধাকে হস্তান্তর করে বিজিবি। সে সময় বৃদ্ধা কোন নাম পরিচয় বলতে পারে নি। শুধু কানাইঘাট কথাটুকু উচ্চারণ করতে পেরেছিলো।
পরে ইউপি সদস্য আব্দুল হালিম বিষয়টি নিয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো সাজেদুল ইসলামকে দুপুর ২ ঘটিকায় অবহিত করলে তিনি সর্বপ্রথম বৃদ্ধাকে সুচিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তির নির্দেশনা প্রদান করেন।
এরপর বিকেল ৪ টায় ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য সিওমেক হাসপাতালে রেফার্ড করতে বললে জৈন্তাপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এ কে আজাদ ভুঁইয়া ও ইউপি সদস্য আব্দুল হালিম জৈন্তাপুর রোগী কল্যাণ সমিতির আর্থিক সহায়তায় সিলেটে প্রেরণ করেন।
শুক্রবার সকালে জৈন্তাপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এ কে আজাদ ভুঁইয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বৃদ্ধার স্বজনদের সন্ধান চেয়ে ছবি পোস্ট করলে সেটা দৃষ্টিনজরে আসে দৈনিক জৈন্তাবার্তা পত্রিকার চিফ রিপোর্টার আবুল হোসেনের। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে দৈনিক জৈন্তাবার্তা জৈন্তাপুর উপজেলা প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম বাবুর সহায়তায় সমাজসেবা কর্মকর্তা ও ইউপি সদস্যদের নিকট যোগাযোগ করে সিওমেক হাসপাতালে সন্ধান চালিয়ে বৃদ্ধা রফিকুন বেগমের খোঁজ পান।
এ বিষয়ে সাংবাদিক আবুল হোসেন জানান কয়েকদিন পূর্বে তার নিজ গ্রামের বাড়ী থেকে রফিকুন বেগমের নিঁখোজ হওয়ার বিষয়টি তিনি জানতেন। শুক্রবার সকালে ফেইসবুকে ছবি দেখে তিনি হাসপাতালে ছুটে আসেন এবং নিঁখোজ রফিকুল বেগমের স্বজনদের খবর দেন। তিনি বলেন জৈন্তাপুর থেকে সিওমেক হাসপাতালে রোগীকে রেখে আর কেউ খোঁজ নেয় নি। তিনি দীর্ঘ তিনঘণ্টা অনুসন্ধান চালিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে খোঁজাখুজির পর এক সময় রফিকুন বেগমের সন্ধান পান।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd