গোয়াইনঘাটে পুলিশের নামে লনির বেপরোয়া চাঁদাবাজি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিরব!

প্রকাশিত: ১২:০৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪

গোয়াইনঘাটে পুলিশের নামে লনির বেপরোয়া চাঁদাবাজি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিরব!

আব্দুর শুকুর, নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তে পুলিশের নামে চলছে চাঁদাবাজির হিড়িক। প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে দাপটের সাথে চলছে লাইম্যান লনির চাঁদাবাজির মহোৎসব। যারফলে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে- চিনি, নাসির বিড়ি, কিট মাল, ভারতীয় বিভিন্ন ধরনের মাদক, ফেনসিডিল, ইয়াবা, মদ, গাঁজা। তবে অদৃশ্য কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিরব ভূমিকায়।

 

ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার নির্ধারিত সীমান্ত প্রতাপপুর, বাবুর কোনা, মোগলিন, কাটারির, মায়ামতি ঝর্রনা সংলগ্ন হয়ে মাতুরতল বাজারে ও রাধানগর বাজারে গাড়ি বুঝাই করে নিরাপদে গোয়ানঘাট দিয়ে হরিপুর ও সিলেট শহরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেওয়া হয়।

 

এদিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার সবকয়টি সীমান্তে পুলিশের হয়ে নিয়ন্ত্রণ করেন লনি গং। চোরাই পথে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসছে কয়েক কোটি টাকার মদ, গাঁজা, ইয়াবা সহ বিভিন্ন মাদক জাতীয় অবৈধ পণ্য। কি এমন অদৃশ্য শক্তির ফলে চোরাকারবারীদের গুডফাদার লনি প্রক্যশ্যে পুলিশের নামে চাঁদা আদায় করছে প্রশাসনের নাকের ডগায় এবং প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চোরাকারবারিদের দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা।

 

প্রতি রাতে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের নামে কয়েক লক্ষ টাকা চাঁদা নিয়ে বৈধতা দিয়ে চোরাই পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ করে দেয় লনি গং। তবে এসব অদৃশ্য কারণে থানা পুলিশের নজরে না আসায় দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে লনি গং।

 

এ বিষয়ে সততা নিশ্চিতের জন্য লনির সঙ্গে সাথে কথা বললে প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে বলেন আমি পুলিশকে আগে টাকা দিয়ে লাইনম্যানের দায়িত্ব নিয়েই চাঁদা আদায় করছি।

 

এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

February 2024
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
242526272829  

সর্বশেষ খবর

………………………..