সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:৩৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ২১, ২০২৪
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় সুরমা নদীতে শ্রমিকসহ একটি মালবাহী ট্রলার আটকে রেখে ৪ লাখ টাকা ‘মুক্তিপণ’ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে গত মঙ্গলবার ধর্মপাশা থানার এসআই দিদার উল্লাহ ও স্থানীয় তিনজনের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ট্রলার মালিক মিজানুর রহমান চৌধুরী রাসেল। অভিযুক্ত অন্যরা হলেন– শান্তিপুর গ্রামের মো. রাকিব ও জসিম মিয়া এবং ইসলামপুর গ্রামের শাহ আলম চৌধুরী।
জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ এহসান শাহ ঘটনাটি তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) রাজন কুমার দাসকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন।
নেত্রকোনার খালিয়াজুরীর বাসিন্দা মিজানুর রহমান লিখিত অভিযোগে বলেন, গত রোববার ভোরে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ থেকে একটি ট্রলারে চিনি, গ্যাস সিলিন্ডার, ডিজেলসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে খালিয়াজুরীর লিপসা বাজারের দিকে রওনা দেন শ্রমিক অজিত সরকার, মতি মিয়া ও মুন্না মিয়া। ট্রলারটি সকাল ৬টার দিকে গোলকপুর বাজার ঘাটে পৌঁছলে অজ্ঞাত ৫ থেকে ৭ জন ইঞ্জিনচালিত ছোট নৌকায় এসে মালপত্র লুটের চেষ্টা করে। শ্রমিকরা বাধা দিলে তাদের গোলকপুর বাজারে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। এ সময় অভিযুক্তরা শ্রমিকদের কাছে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
শ্রমিকরা ফোনে ট্রলার মালিক মিজানুর রহমানকে ঘটনাটি জানান। মিজানুর টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে শ্রমিকদের গুম করার হুমকি দেওয়া হয়। শ্রমিকদের প্রাণ বাঁচাতে সকাল ৯টার দিকে মন্নান ঘাটে পৌঁছে মানিক মিয়ার মাধ্যমে এসআই দিদার উল্লাহকে ৪ লাখ টাকা দিলে শ্রমিক ও ট্রলারটি ছেড়ে দেওয়া হয়। মানিক মিয়া মন্নান ঘাট নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ট্রলার চালক।
এদিকে মুক্তির পর শ্রমিকরা ট্রলারে গিয়ে দেখেন ৩৪ বস্তা চিনি ও ১০টি গ্যাস সিলিন্ডার নেই। ট্রলার মালিক মিজানুর বলেন, ‘মানিকের মাধ্যমে এসআই দিদার উল্লাহকে প্রথমে সাড়ে ৩ লাখ এবং পরে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি।’ তবে মধ্যস্থতাকারী মানিক মিয়া বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’
ওই দিন একটি অভিযানে ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা জানিয়ে অভিযুক্ত এসআই দিদার উল্লাহ বলেন, ‘গোলকপুরে কে বা কারা একটি মালবাহী নৌকা আটকে রাখার খবর পেয়ে সেখানে যাই। এখন শুনছি একটি চক্র আমার নাম ভাঙিয়ে টাকা আদায় করেছে। এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
ধর্মপাশা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আলী ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘পুলিশ সুপার এই ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছেন, এ-সংক্রান্ত চিঠি পেয়েছি।’ অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ নিজেও বলেন, ‘অভিযোগটি তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী শুক্রবারের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।’
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd