সিলেট ৯ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:১৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৫, ২০২৪
মোঃ জামাল উদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধি:
সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ থানাধীন ২নং হাটখোলা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের উমাইরগাঁও এলাকার দক্ষিণ-পূর্ব পাশের চেঙ্গেরখাল নদী (বাদাঘাট নদী) থেকে অবৈধভাবে ছোট বড় শতাধিক ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে চলছে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। দীর্ঘদিন ধরে কোটি টাকার সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হলেও এখন পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসনের নজরে পড়েনি। ফলে সরকারের রাজস্ব হরিলুট নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জালালাবাদ থানা থেকে ৭-৮ কিলোমিটার দুরত্বের মধ্যে উমাইরগাঁওয়ের মেটকার হাওর, পীরেরগাঁও, ঝৈনকারকান্দি এলাকা। জালালাবাদ থানার নিকটবর্তী এই এলাকাগুলো থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে সরকারের কোটি টাকার রাজস্ব হরিলুট হলেও এ যেন দেখার কেউ নেই। সরজমিনে ২নং হাটখলা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের উমাইরগাঁও এলাকার নিকটবর্তী চেঙ্গেরখাল নদী ঘুরে এ ধ্বংসযজ্ঞ দেখা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় ইজারা দেয়নি কর্তৃপক্ষ। সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করতে সিলেটের জেলা প্রশাসকের নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধভাবে কোটি টাকার বালু উত্তোলন করে বাণিজ্য করছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। স্থানীয়রা জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্থানীয় একটি সংঘবদ্ধ প্রভাবশালী চক্র। বালু তুলতে বাধা দিলে এলাকাবাসীকে এই মহল প্রাণে মারা, হাত পা ভেঙে দেয়ার হুমকী দেয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন দিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করলেও স্থানীয় প্রশাসন ওই ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বালু উত্তোলনের ফলে ওই এলাকার আশপাশের অনেক কৃষকের আবাদি জমি ভেঙে গেছে। গত ৫-৭ বছরে উমাইরগাঁও এলাকার কৃষকদের প্রায় ১০ কিয়ার আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বর্তমানে তাঁর প্রায় ৮০ শতাংশ আবাদি জমি ভাঙনের মুখে রয়েছে। তারা বলেন, ‘কত লেখালেখিও হয় কিন্তু বালু তুলা বন্ধ হয় না।’ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে অনুরোধ করার পরেও কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি বলে জানান এলাকাবাসী।
এবার আসি অন্যদিকে, এমন একাধিক অভিযোগ এনে ভিন্ন তারিখ ও সময়ে সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বারবার নিজের মালিকানা কৃষি ক্ষেতের আবাদি জমি সংঘবদ্ধ প্রভাবশালী চক্রের কবল থেকে রক্ষার জন্য লিখিত দরখাস্ত দায়ের করেন একাধিক ভুক্তভোগী।
এব্যাপারে জালালাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান এর ব্যবহৃত সরকারি সেলফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান- আমরা এ বিষয়ে বহু অভিযান করেছি আর মূলত এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর কোন ব্যবস্থা নেয় না তবে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে বলে তিনি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।
এব্যাপারে সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাছরীন আক্তার এর সরকারি সেলফোনে যোগযোগ কররে তিনি জানান- আমি এখন এ বিষয়ে থানা পুলিশকে বলে দিচ্ছি আর পারলে আপনারা এদের কয়েকজনকে আটকে রাখুন আমি এসে ব্যবস্থা নিবো বলে তিনি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।
এব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক মোঃ বদরুল হুদা এর সরকারি সেলফোনে যোগযোগ করলে তিনি জানান- আমাদের পরিবেশ আইনে বালু উত্তোলন সংক্রান্ত কোন ধারা নাই। এটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর এখতিয়ার যা ব্যবস্থা নেওয়ার উনারা নিবেন। তারপরও যদি উনারা আমাদের লিখিত নোটিশ করেন তাহলে আমরা ব্যবস্থা নিবো।
চলমান সংবাদ- ০১।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd