গোয়াইনঘাটে পুলিশের নামে তিন কুতুবের চাঁদাবাজি: নিরব কর্তৃপক্ষ!

প্রকাশিত: ৫:১৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৬, ২০২৪

গোয়াইনঘাটে পুলিশের নামে তিন কুতুবের চাঁদাবাজি: নিরব কর্তৃপক্ষ!

ক্রাইম প্রতিবেদক: সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার ১১নং মধ্য জাফলং ইউনিয়নের সিড়িরঘাট, হাজীপুর, লামা পুঞ্জি, প্রতাপপুর বিজিবি ক্যাম্পের সামনের রাস্তা, নকশিয়া পুঞ্জি, জিরো পয়েন্ট, কাটারি রাস্তা ও জাফলং চা বাগান হয়ে এই ইউনিয়ন ও পার্শবর্তী ইউনিয়নের প্রায় ২২টি চোরাই পথে আসছে ভারতীয় চোরাই পণ্য।

 

চিনি, আলু, টমেটো, পিয়াজ, অস্ত্র, মাদক, বিভিন্ন ব্রান্ডের মোটরসাইকেল। চোরাই পথে আসা এসকল পণ্যের সরকারি কোন বৈধতা না থাকলেও স্থানীয় থানা পুলিশ নিজেদের ফোর্স ও স্থানীয় জনবল নিয়োগ দিয়ে চোরাইপথে আসা ভারতীয় পণ্যের উপর দৈনিক কোটি কোটি টাকার চাঁদা আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

স্থানীয় সুত্র ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের আরেক লাইনম্যান জানান- পুলিশের লাইম্যান হিসেবে দিনের বেলায় এলাকায় দাপটের সাথে ঘুরে বেড়ায় ১১নং মধ্য জাফলং ইউনিয়নের বাউরভাগ গ্রামের বাসিন্দা উজ্জ্বল মিয়া, মানিক মিয়া ওরফে (কালা মানিক) ও একই ইউনিয়নের কাপাউরা গ্রামের বাসিন্দা কামাল।

 

অভিযোগে প্রকাশ এই তিন কুতুব দীর্ঘদিন ধরে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের নামে ভারতীয় চোরাচালান থেকে দৈনিক লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি করে আসলেও অদৃশ্য কারণে এসব চোখে পরে না থানা পুলিশের।

 

বিগত কয়েকদিন আগে উপজেলার দুই অনুসন্ধানী সংবাদকর্মীরা সরাসরি মাঠে গিয়ে তাঁদের অপকর্মের তথ্য সংগ্রহ করতে চাইলে তারা উল্টো তাঁদের প্রাণে হত্যার চেষ্টা চালায়। পরবর্তীতে সংবাদকর্মীদের একটি তথ্য কৌশল উজ্জ্বল মানিক ও ডিবি পুলিশের লাইনম্যান জুবের কেঁড়ে নিয়ে ভিডিওটির আগের অংশ এবং পিছনের অংশ এডিট করে কথিত সাংবাদিক নামধারী এক ব্যক্তিকে দিয়ে ঐ দুই সংবাদকর্মীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়।

 

পরবর্তী ঐ দুই সংবাদকর্মীদের উপর আক্রমণের খবর পেয়ে লোক দেখানোর জন্য নামমাত্র আইওয়াশ অভিযান করে ঐ রাতে ভোর ৫ টায় উপজেলার ১১নং মধ্য জাফলং ইউনিয়নের রাধানগর বাজার থেকে উজ্জ্বল, মানিক ও কামালের মহড়ায় ছেড়ে আসা ভারতীয় চিনি ভর্তি দুইটি ডিআই পিকআপ সহ্ দুইজন চালককে আটক করে পুলিশ।

 

পরে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রচার হলে ঐ তিন কুতুবকে লাইনম্যানের দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেন থানা পুলিশ।

 

গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের নামে ভারতীয় চোরাচালান থেকে দৈনিক লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি করে আসছে উজ্জ্বল, মানিক ও কামাল সিন্ডিকেট। দৈনিক লক্ষ লক্ষ টাকার গন্ধে নিরব থানা পুলিশ। থানা পুলিশের হয়ে তাদের শেল্টারদাতা হচ্ছেন এসআই পিন্টু সরকার। তিনি এই তিন কুতুবের মারফতে চোরাইপথে আসা ভারতীয় পণ্যের উপর দৈনিক লাখ লাখ টাকার চাঁদা আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুলত এই তিন কুতুবের নিয়ন্ত্রক হচ্ছেন তিনি।

 

চোরাচালান ও পুলিশের নামে এই তিন কুতুবের চাঁদাবাজির বিষয়ে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসির সরকারি মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করিলে তিনি কল রিসিভ করেন নি বিধায় এ বিষয়ে কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

March 2024
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  

সর্বশেষ খবর

………………………..