সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:৫৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২১, ২০২৪
খলিলুর রহমান :: সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং বল্লাঘাট ঝুম্পার নামক এলাকা থেকে প্রতিদিন অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
স্থানীয়ভাবে অভিযোগ পাওয়া গেছে, গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং কান্দুবস্তীর ফিরোজ ও তার সহযোগী ফয়জুলের শেল্টারে বল্লাঘাট
ঝুম্পার এলাকা থেকে অবাধে পাথর ও বালু উত্তোলন করছে একটি ব্যবসায়ী খেকোচক্র। তারা এ স্থান থেকে বালু-পাথর ট্রাক-ট্রলি এবং বলগেট করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে।ফলে ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ ও প্রতিবেশ। ধসে পড়ছে বাড়ঘর ও সরকারি-বেসরকারি বিভন্ন স্থাপনা।
অভিযোগে প্রকাশ, বেআইনী পন্থায় উত্তোলিত পাথরের প্রতি গাড়ি থেকে ২ হাজার টাকা করে এবং প্রতি বালুর গাড়ি থেকে ১ হাজার টাকা করে পুলিশ ও উপজলে প্রশাসনের নামে প্রতিনিয়ত চাঁদা আদায় করছে এই ফয়জুল ও ফিরোজ সিন্ডিকেট। আর এই সিন্ডিকেটকে শেল্টার দিচ্ছে সাংবাদিক নামধারী একটি বখরাবাজ চক্র। যারা ফিরোজ-ফয়জুল ও পুলিশের কাছ থেকে আদায় করে থাকে মধ্যসত্ত্ব।
অভিযোগে আরো প্রকাশ, স্থানীয় থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও কতিপয় নামধারী সাংবাদিকের সাথে রয়েছে ওই ফয়জুল ও ফিরোজ সিন্ডকেট গভীর সখ্যতা। তাই তাদের এহেন অপকর্মের কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। প্রতিবাদ করলে মিথ্যে মামলায় জেল-জুলমের শিকার হতে হয়।
এ বিষয়ে ফিরোজ এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি চাঁদাবাজির অভিযোগ অব্সীকার করে বলেন, বালু-পাথর উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। তাই চাঁদাবাজি করার প্রশ্নই,ওঠে না।
এ বিষয়ে,শনিবার (২০ এপ্রিল) গোয়াইনঘাট থানা পলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বিভন্ন কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন।
কিন্তু এর আগে অপর গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে গিয়ে ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, ফয়জুল ও ফিরোজ নামের কোনো লাইনম্যানকে আমি চিনি না, আমি এসব বিষয়ে কিছুই জানিন না, সঠিক তথ্য পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
একই সময়ে এ বিষয়ে জানতে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সরকারি সেলফোনে যোগাযোগ করলে তিনও ব্যস্ত আছেন জানিয়ে এ বিষয়প কথা বলতে অপরগতা প্রকাশ করেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd