কানাইঘাটে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল বিপর্যয় : পাশের হার ৬৭.৬৬%

প্রকাশিত: ৪:৩৫ অপরাহ্ণ, মে ১২, ২০২৪

কানাইঘাটে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল বিপর্যয় : পাশের হার ৬৭.৬৬%

কানাইঘাট প্রতিনিধি :: সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় কানাইঘাট উপজেলার ২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার্থীদের ফলাফলে সন্তোষ্ট নয় অভিভাবকরা। সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পাশের হার বিবেচনা করলে ফলাফল বিপর্যয় ঘটেছে কানাইঘাটে। গতবারের চাইতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে, কমেছে পাশের হার। গোটা উপজেলায় ৫২ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। ২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২৪’শ ৯ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছেন ১৬৩০ জন পরীক্ষার্থী। উপজেলার এসএসসি পরীক্ষার পাসের হার ৬৭.৬৬।
সার্বিক ফলাফলের দিক থেকে কানাইঘাট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় উপজেলা পর্যায়ে শীর্ষস্থান দখল করেছে। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ১১৯ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ১০৭ জন পরীক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছেন ও সর্বোচ্চ ১৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
ফলাফল বিপর্যয় ঘটেছে পৌর শহরে অবস্থিত কানাইঘাট পাবলিক হাইস্কুলে। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৬০ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছেন মাত্র ২৪ জন। জিপিএ ৫ পায়নি কোন শিক্ষার্থী। এরপর ফলাফলে বিপর্যয় ঘটেছে উপজেলার একমাত্র মেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রামিজা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০৫ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৫৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ-৫ পায়নি কোন শিক্ষার্থী।
তবে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করেছে আলহাজ¦ বশির আহমদ উচ্চ বিদ্যালয়। মফস্বল এলাকায় অবস্থিত এ প্রতিষ্ঠান থেকে ১২০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৯১ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। তার মধ্যে ৭ জন পেয়েছে জিপিএ-৫।
এসএসসি পরীক্ষায় ফলাফল সন্তোষজনক না হওয়ার কারনে অনেকে দায়ী করছেন, বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকদের সিলেট শহরে বসবাসের কারন। সময়মতো অনেক প্রধান শিক্ষক স্কুলে না আসায় ও শিক্ষকদের পাঠদানে তদারকি না করার কারন। আবার ফলাফল বিপর্যয়ে অভিভাবকদের গাফিলাতি রয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।
অপরদিকে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় ১৩টি মাদ্রাসা থেকে ৬৭০ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে ১০টি জিপিএ-৫ সহ ৫১০ জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছেন। উপজেলার দাখিল পরীক্ষার পাসের হার ৬৭.৬৬। তারমধ্যে কানাইঘাট মনসুরিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে সর্বোচ্চ ১০৭ জন শিক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৩ টি জিপিএ-৫ সহ ৭৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..