কেয়ারে ভিসায় ইংল্যান্ড পাঠানোর নামে বিয়ে প্রতারণা-আত্মসাত : জগন্নাথপুরের ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ৮:০৬ অপরাহ্ণ, মে ১৩, ২০২৪

কেয়ারে ভিসায় ইংল্যান্ড পাঠানোর নামে বিয়ে প্রতারণা-আত্মসাত : জগন্নাথপুরের ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক :: ইংল্যান্ড পাঠানোর নামে বিয়ে প্রতারণা ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জগন্নাথপুরের এক বর-সহ ৫ আদম ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় এ মামলা রুজু করা হয়। মামলাটি করেছেন সিলেট নগরীর লামাবাজার বিলপারস্থ নাসিরাবাদের বর্তমান বাসিন্দা মোঃ আশিকুর রহমান। আশিকুর রহমানের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানার হাসান ফাতেমাপুর গ্রামে।
মামলার আসামীরা হচ্ছেন- সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানার হাড়িকোনা গ্রামের সৈয়দ আব্দুল আউয়াল-এর পুত্র বিয়ের বর সৈয়দ ছানোয়ার আহমদ (২৭), ছানোয়ার আহমদের পিতা সৈয়দ আব্দুল আউয়াল (৫৮) ছানোয়ার আহমদের মাতা হামিদা বেগম (৪৫) ও ছানোয়ারের বোন স্থানীয় গোয়ালগাঁওয়ের সৈয়দা মুন্না বেগম (২৪) এবং একই থানার সুনাতনপুর গ্রামের আনসার আলীর পুত্র দুলু মিয়া ও মৃত হাশিম মিয়ার পুত্র রাজন মিয়া।
মামলায় অভিযোগ করা হয়- সৈয়দ ছানোয়ার ও তার স্বজনরা আশিকুর রহমানের মেয়ে ফারজানা বেগমকে কেয়ার ভিসায় ঈংল্যান্ড নেওয়ার কথা বলে ২০২৩ সালের ১৫ মে সৈয়দ ছানোয়ার আহমদ -এর সাথে শরীয়ামতে ফারজানার বিয়ে পড়ায়। এসময় কথা হয় কনে ফারজানা তার পিতার বাড়িতে থেকে আইইএলটিএস সম্পন্ন করার পর স্বামী সৈয়দ ছানোয়ার তাকে ঘরে উঠিয়ে নিয়ে ইংল্যান্ড নিয়ে যাবে। ছানোয়ার ও তার স্বজনদের কথামতে বাপের বাড়িতে থেকেই আইইএলটিএস সম্পন্ন করে ফারজানা। এর পর ছানোয়ার ও তার স্বজনরা ইংল্যান্ডের একটি ভূয়া কস লেটার দেখিয়ে ফারজানার পিতার কাছ থেকে ভিসা টিকেটের খরচ বাবদ আরো ৭ লাখ টাকা গ্রহণ করে। পরবতীতে এ কস লেটারে ফারজানার কোনো ভিসা হয়নি। তখন ছানোয়ার ও তার সহযোগীরা ফিাজানার পিতা আশিকুর রহমানের দেওয়া ৭ লাখ টাকা সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাত করে ফারজানার বিয়েও অস্বীকার করে বসে। টাকা ও বিয়ে দাবি করলে ফারজানা ও তার পরিবারের লোকদের হত্যা ও গুম করে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে ফারজানার পিতাকে খবর দিয়ে ছানোয়ারদের বাড়িতে নিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার মোবাইল ফোন ও নগদ ৩৭ হাজার টাকা কেড়ে নেয় এবং অলিখিত তিনটি স্ট্যাম্পে আশিকুর রহমানের দস্তখত আদায় করে নেয়।
এ নিয়ে অনেক স্থানীয়ভাবে অনেক দেন দরবারও হলেও টাকা ফেরত দেয়নি এবং ফারজানাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহনও করেনি ছানোয়ার ও তার স্বজনরা। তাই বাধ্য হয়ে ফারজানার পিতা আশিকুর রহমান প্রতারণার এ ঘটনায় ১০ মে রাতে সিলেটে কোতোয়ালি থানায় এ মামলা করেন, যা সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার মামলা নং-১১(৫)২৪।
মামলার পর থেকে আসামীরা পলাতক রয়েছে এবং পুলিশের গ্রেফতার এড়িয়ে ফারজানা ও তার পরিবারকে নানা হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলে অভিযোগে প্রকাশ।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই শাওন মাহমুদ অপু জানান, মামলার পর থেকে আসামীরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে পুলিশের তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..