ছাতকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত: ৮:১০ অপরাহ্ণ, মে ২৩, ২০২৪

ছাতকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

ছাতক প্রতিনিধি :: ছাতকে এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, স্বেচ্ছাচারিতা, পুরাতন ইস্কুল ভব‌ন নিলাম দি‌য়ে না‌মে মাত্র টাকা জমা দি‌য়ে বেশীভাগ টাকা লুটপাট, ক্ষুদ্র মেরামত, রুটিন মেন্টেইনেন্সেরম টাকা বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজে না ক‌রে প্রধান শিক্ষকের পকে‌টে। বিব্যাল‌য়ের প্রধান শিক্ষক ব‌শির উদ্দি‌নের বিরু‌দ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির লি‌খিত অভিযোগ করেছেন ওই বিদ্যালয়ের সভাপতিসহ ৮ জন ব্যাক্তি।

উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের দশঘর সরকা‌রি প্রাথ‌মিক বিদ‌্যাল‌য়ের প্রধান শিক্ষক বশির উদ্দিনের বিরু‌দ্ধে এসব আভি‌যোগ উঠে‌ছে।
গত ২১ মে সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকতার বরাব‌রে গ্রামবাসীর প‌ক্ষে ময়নুল, ফজল, ছা‌দিক, বদরুল ইসলাম, সা‌নোয়ার, শাহজাহান ও আউয়ালসহ ৮জন বাদী হ‌য়ে বিব্যাল‌য়ের প্রধান শিক্ষক বশির উদ্দিনের বিরু‌দ্ধে মহাপরিচালক (গ্রেড-১), প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর,পরিচালক (তদন্ত ও শৃঙ্খলা), প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, উপ প‌রিচালক প্রাথ‌মিক শিক্ষা অ‌ধিদপ্তর সি‌লেট, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকতাকে বরাব‌রে লি‌খিত অ‌ভি‌যোগ দা‌য়ের ক‌রে‌ছেন গ্রামবাসীরা।

জানা যায়, এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বশির উদ্দিন যোগদা‌নের পর বিদ্যালয়ে অনিয়মিত উপস্থিতির কারণে বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী‌দের পাঠদান মারাত্নক ব্যাহত হচ্ছে। তার মন ইচ্ছা পছন্দসই লোক দিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠন করে ব্যাক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করে আসছে।

বর্তমান নতুন কমিটির সভাপতির নামে যৌথ ব্যাংক হিসাব ট্রান্সফার করার নিয়ম থাকলেও তা না করে পুরাতন কমিটির সভাপতির নামে ব্যাংক হিসাবে লেনদেন করেছেন।

বর্তমান সভাপতিকে প্রধান কোনো কিছু অবগত না করেই তার মনগড়া ইচ্ছাধীন প্রতিষ্টানের আর্থিক লেনদেন করে। এছাড়াও প্রধান শিক্ষক বশির উদ্দিন বর্তমান সভাপতিকে না জা‌নি‌য়ে বিদ্যালয়ের একটি পরিত্যাক্ত ভবন প্রকাশ্যে ৭৫ হাজার টাকা মূল্যে নিলা‌মের মাধ‌্যমে বিক্রি করেন। মাত্র ২৩ হাজার ৫শত টাকা উপ‌জেলার সা‌বেক ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকতা মাধ‌্যমে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা দি‌য়ে ৫১হাজার ৫শত আত্নসাৎ ক‌রেন। এসব অ‌নিয়ম দুনী‌তির ‌বিষয় প্রশ্ন কর‌লে প্রধান শিক্ষক বশির উদ্দিনকে তা‌দের স‌ঙ্গে খারাপ আচরন ক‌রে ব‌লেন আমি বিভিন্ন সময় উপজেলা শিক্ষা কর্মকতা (টিও) সহ অনেককেই চপেটাঘাত করেছি এসব আমাকে বলে কোনো লাভ নেই।

তার এসব বক্তব্যের একটি ভিডিও চিত্র অ‌ভি‌যোগকারী‌দের হাতে সংরক্ষিত রয়েছে। এছাড়াও বিদ্যালয়ের স্লিপ ফান্ড, ক্ষুদ্র মেরামত, রুটিন মেন্টেইনেন্সেরম টাকা বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজে না ক‌রে প্রধান শিক্ষক বশির উদ্দিনের বিরু‌দ্ধে লুটপাট দুনী‌তি ও আত্মসাতের অ‌ভি‌যোগ ক‌রেন । প্রতি বছর প্রাক প্রাথমিক বরাদ্দের টাকা আসলেও শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো ধরনের খেলনা সামগ্রী ক্রয় না করে নিজেই পকে‌টে এসব টাকাগু‌লো আত্মসাৎ করেন। এ বিষয়ে গ্রামবাসীর পক্ষে বিদ‌্যাল‌য়ের আয় ব‌্যায় জানতে চাইলে হিসাব না দিয়ে তিনি উল্টো তাদেরকে হামলা মামলা হুমকী ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন ব‌লে অ‌ভি‌যো‌গের উল্লেখ‌্য ক‌রেন।

উপজেলা শিক্ষা কমিটি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান তার চাচাতো ভাই। এছাড়াও তিনি সরকারি নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাআঙ্গুল দে‌খি‌য়ে শিক্ষকতা পেশার পাশাপাশি আইন পেশায়ও নিয়োজিত রয়েছেন। এ ঘটনায় নি‌য়ে বিভিন্ন সম‌য়ে তার বিরু‌দ্ধে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রপ‌ত্রিকায় একাধিক সংবাদও প্রকাশিত হয়। এমন কি প্রধান শিক্ষক বশির উদ্দিনের জাতীয় পরিচয়পত্রে তার পিতার নাম হারিছ আলী হলেও শিক্ষক নিয়োগ ও নামজারী মোকদ্দমা নং ২৩৩৬/২০০৮ইং মূলে তার পিতার নাম ইছাক আলী উল্লেখ করা হয়। ইছাক আলী ও হারিছ আলী পৃথকভাবে পিতার নাম উল্লেখ থাকায় তার শিক্ষা সনদ নিয়ে নানা সন্দেহ রযেছে।

এব‌্যাপা‌রে জেলা প্রাথ‌মিক শিক্ষা কর্মকতা মোহন লাল দাশ এসব ঘটনায় এক‌টি লি‌খিত অ‌ভি‌যোগ প্রা‌প্তির সত‌্যতা নি‌শ্চিত ক‌রে ব‌লেন,তদন্তপুবক আইনানুগত ব‌্যবস্থা নেয়া হ‌বে।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..