লালদিঘিরপারে বরাদ্দকৃত দোকান নিয়ে মারধর, হত্যার হুমকি

প্রকাশিত: ৮:১২ অপরাহ্ণ, মে ২৪, ২০২৪

লালদিঘিরপারে বরাদ্দকৃত দোকান নিয়ে মারধর, হত্যার হুমকি

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেটের লালদিঘিরপার হকারদের জন্য লটারিত বরাদ্দ পাওয়া একটি দোকান অন্যজনের কাছে বিক্রি, বরাদ্দ পাওয়া হকারকে মারধোর এবং হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগকারীর নাম মো. হারুনুর রশীদ (২৬)। তিনি ব্রাম্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার বগডহর গ্রামের মৃত আব্দুল হকের ছেলে। বর্তমানে নগরীর কামালগড় এলাকার বাসিন্দা। সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানায় তিনি গত বুধবার এক অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, সিলেটের রাজপথ থেকে হকারদের উচ্ছেদ করে নগরীর লালদিঘিরপার হকার্স মার্কেটে পূণর্বাসন কর্মসূচির আওতায় তিনি লটারির মাধ্যমে ৪নং দোকানটি বরাদ্দ পেয়েছিলেন। এরপর তিনি সেখানে পেঁয়াজ রসুন ও আলু বিক্রি করছিলেন। অসুস্থ হয়ে পড়ায় গত এপ্রিলের শেষের দিকে তার দোকানটি কয়েকদিন বন্ধ ছিল। এসময় তিনি জানতে পারেন নগরীর শেখঘাট কলাপাড়ার শহীদ বেপারির ছেলে রুমন (৩৫), ছড়ারপারের খাইরুল মিয়ার ছেলে সাকিব (২৭) ও সিরাজ মিয়ার ছেলে হুমায়ুনসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন হকার নেতা মিলে তার দোকানটি অন্য একজনের নিকট মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছেন।

এমন সংবাদ পেয়ে তিনি গত ২ মে দোকানটি খুলতে গেলে তারা তিনজনই তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি দেয়। পরে লালদিঘিরপার মাঠ ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি রফিক মিয়ার মধ্যস্ততায় তিনি আবার তার দোকানটি ফেরত পান। তিনি আবারও ব্যবসা চালিয়ে যেতে থাকেন। এ অবস্থায় আবারও তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে ৪/৫ দিন দোকানটি বন্ধ রাখেন।

গত বুধবার বিকেল ৪টার দিকে তিনি নিজের দোকান খুলতে গেলে রুমন সাকিব ও হুমায়ুনসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন হকার বাধা দেয়। তিনি প্রতিবাদ করলে তারা তার উপর চড়াও হয়ে মারধোর করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

হারুন তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, তিনি শঙ্কিত। যখন তখন উল্লিখিত অভিযুক্ত ও তাদের দোসররা তার উপর হামলা চালিয়ে তার বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। এ ব্যাপারে আইনী ব্যবস্থা নিতে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সাকিব জানান, এরকম কিছু ঘটেনি। পুলিশী তদন্তেও তার অভিযোগের কোনো প্রমাণ মিলেনি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাঈন উদ্দিন শিপন বলেন, এখন বাইরে। কাগজপত্র দেখে পরে জানাতে পারব। তবে লালদিঘিরপার হকার্স মার্কেটের কয়েকজন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, পুলিশের একটি দল লালদিঘিরপার হকার্স মার্কেট পরিদর্শণ করেছে। বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর সাথে তারা কথাও বলেছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..