সিলেট ৭ই জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩০শে জিলহজ, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ২:১৯ পূর্বাহ্ণ, জুন ৯, ২০২৪
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক :: কোম্পানীগঞ্জে বারকি শ্রমিকদের সাথে প্রশাসনের অন্যায় আচরণ, পাথর ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার এবং ভোলাগঞ্জ, জাফলং, বিছনাকান্দিসহ সিলেটের সকল পাথর কোয়ারী খুলে দেয়ার দাবিতে শনিবার দুপুরে বারকিবন্ধন হয়েছে। উপজেলার ধলাই নদে বারকি বাঁচাও আন্দোলনের ডাকে বারকি শ্রমিকদের নিয়ে এ বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বারকি বাঁচাও আন্দোলন সিলেটের আহবায়ক শ্রমিক নেতা ফয়জুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও শ্রমিক নেতা সুরুজ মিয়ার পরিচালনায় বারকিবন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তৃণমূল বিএনপি নেতা আবুল হোসেন।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা শ্রমিক মজলিসের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুর রহিম, মুরব্বি ইমাম হোসেন, চমক আলী, আজাদ মিয়া, জয়নাল আবেদীন, বাবুল মিয়া, আমির আলী, কাঁচা মিয়া, শ্রমিক নেতা হেলাল মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড নেতা রমজান আলী কালা মিয়া, আব্দুল হাসিম, ফজর আলী, সাইদুর রহমান, প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবুল হোসেন বলেন, ‘সম্প্রতি ধলাই নদে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক বন্যা কবলিত বারকি শ্রমিকদের সাথে অন্যায় আচরণ করা হচ্ছে। ৩টি বারকি নৌকা ডুবিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনদিনের মধ্যে অন্যায় আচরণের জন্য দুঃখপ্রকাশ ও ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। কিন্ত এরমধ্যে বিষয়টি নিস্পত্তি না হওয়াতে বারকিবন্ধনে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
বারকিবন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘শ্রমিকদের সাথে অন্যায় আচরণে উপজেলা প্রশাসনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা সরাসরি জড়িত।’ তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থাগ্রহণসহ তার অপসারণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানানো হয়। অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের জোরালো দাবি জানানো হয়।
বারকিবন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, ‘ভোলাগঞ্জ-জাফলং-বিছানাকান্দিসহ সিলেটের সকল পাথর কোয়ারিগুলো দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ থাকায় পাথর শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। জুন মাসের মধ্যে সিলেটের সকল পাথর কোয়ারিগুলো সনাতন পদ্ধতিতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে খুলে দেয়ার জন্য সরকারের নিকট দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় আন্দোলনরত শ্রমিকদের সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে কঠোর কর্মসূচি প্রদান করা হবে।’
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd