সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৩২ অপরাহ্ণ, জুন ১৩, ২০২৪
ছাতক প্রতিনিধি :: ছাতকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা, পীরপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ,ইজারাদার গোবিন্দগঞ্জ বাজার মাহমুদুর রশীদসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার আফজলাবাদ গবাদি পশু ও কৃষি সমবায় সমিতি লিঃ সহ সভাপতি এমদাদুর রহমান চৌধুরী। গত ১১ জুন এমদাদুর রহমান চৌধুরী বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা করেন।
এ অভিযোগের ঘটনায় জেলাজুড়েই ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে, সামাজিক যোগাযোগ ফেইসবুকের পক্ষে বিপক্ষে পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ ঘটনায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগে থেকে জানা যায়, উপজেলার আফজলাবাদ গবাদি পশু ও কৃষি সমবায় সমিতি লিঃ রেজিঃ নং- ০৯৪/১৭ (সুনাম) নিবন্ধিত সমবায় সমিতি।
সমিতির ওপর অন্যায় চাপ ও জবর দখল করার জন্য তৎকালীন ইজারাদার কতিপয় সংশ্লিষ্ট ভূমি কর্মকর্তার অন্যায় যোগ-সাজসে বেআইনী নানাবিধ চাপ সৃষ্টি করলে কোন প্রকার সুরাহা না পেয়ে সুনামগঞ্জ যুগ্ম জেলা জজ আদালত, সুনামগঞ্জ সমিতির দায়িত্বশীল আবেদনকারীরা স্বত্ব মোকদ্দমা নং-১৪৪/২০১৮ নিষেধাজ্ঞা প্রার্থনায় দায়ের করলে আদালত প্রথমে ৪ জনকে শোকজ নোটিশ জারী করেন।
পরে ২০১৯ সালে ২৭ অক্টোররে আদেশে উভয় পক্ষের শুনানী করেন। পরে নিষেধাজ্ঞার আদেশের বিরুদ্ধে ছাতক উপজেলা চেয়ারম্যান জেলা জজ আদালতে আপীল ০৮/২০২০ দায়ের করেন। আদালত উপজেলা চেয়ারম্যান তার আপীল ০৮/২০২০ মামলাটি অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত শুনানী ও নিষ্পত্তির জন্য প্রেরণ করে। ২০২০ সালে ২৯ জুলাই উপজেলা চেয়ারম্যান বিবাদী আপীল করলে বাদীর রেসপনডেন্টের দখলকৃত গবাদি পশু খামার থেকে টোল আদায়ে বন্ধ করা হয়। সুনামগঞ্জ আপীল আদালত বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ আদালত ২০১৯ সালে জুলাই বিবাদীদের ওপর আদেশ বলবৎ রেখে উপজেলা চেয়ারম্যান বিবাদী আপীলটি না মঞ্জুর করেন সুনামগঞ্জ আদালত।
গত ৮জুন দুপুরে উপজেলার আফজলাবাদ গবাদি পশু ও কৃষি সমবায় সমিতি লিঃ লোহার গেইটে খামার গ্রীলের ভিতর প্রবেশ করে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে কোনো প্রকার নোটিশ না দিয়ে ইউএনও তার নিজের গায়ের জোরে অন্যায় ক্ষমতা প্রয়োগ করেন। তার উপস্থিতি ও নির্দেশিত মতে স্টিলের গেইটে ১” ব্যসার্ধ কাপড়ের কয়েক ফুট ফিতা দিয়ে ফিতার সাথে কিচু রং লাগিয়ে মুখে সীলগালা বললেও কোনো প্রকার আইনানুগ কাগজপত্র না দেখিয়ে ব্যতিক্রম ধর্মী স্টিলের দরজায় প্রতিবন্ধকতা নাটক সাজিয়েছে ইউএনও।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা গোলাম মুস্তফা মুন্না তার ব্যক্তিগত হীন স্বার্থ হাসিলের নিজস্ব অভিপ্রায়ে রাষ্ট্রের আইন, সমবায় আইন বিধিমালা লঙ্ঘন করে মানসিক ও আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ করা হয়। এ ঘটনায় সমিতির আত্ম-সম্মান, মান মর্যাদা ভুলণ্ঠিত, অবতারণা, অমর্যাদাকর মানহানিকর কার্যকলাপে সমিতি ও ব্যক্তি পর্যায়ে প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি করেন ইউএনও।
এব্যাপারে ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গোলাম মুস্তফা মুন্না তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন বিভাগীয় কমিশনার কাছে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের সত্যতা বিয়ষে তার কর্তৃপক্ষ যথাযথ তদন্তপুবক আইনানুগত ব্যবস্থা নেবে। এ বিষয়ে তার ব্যক্তিগত কোন বক্তব্য নেই।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd