সিলেট ৭ই জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩০শে জিলহজ, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:৫৮ অপরাহ্ণ, জুন ১৪, ২০২৪
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : ভারী বৃষ্টিতে আবার জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকা। এতে মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সিলেটে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়। থেমে থেমে মুষলধারে বৃষ্টি দুপুর ৩টা পর্যন্ত চলে। এর পরও থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল। সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত সিলেটে ১০৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হয়েছে ৮১ মিলিমিটার বৃষ্টি। এদিন অতিবৃষ্টিতে নগরীর কুয়ারপার এলাকার ইঙ্গুলাল রোডে গাবিয়ার খালে পড়ে স্রোতে ভেসে যায় দুই বছর বয়সী শিশু আরাব আহমদ। পরে ওই খাল থেকে আরাবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সিলেটে গত মাসের শেষ দিক থেকেই বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বন্যার সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে দেড় সপ্তাহের ব্যবধানে চতুর্থবারের মতো সিলেট নগরীতে জলাবদ্ধতা দেখা দিল। গতকালের বৃষ্টিতে নগরীর যতরপুর, মেজরটিলা, তেরোরতন, মাছিমপুর, উপশহর, কুয়ারপার, সোনারপাড়া, সোবহানীঘাট ও তালতলা এলাকায় মারাত্মক জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। উপশহর এলাকার ব্যবসায়ী বদরুল আমিন শেখ জানান, গেল কয়েক দিনের বন্যায় আমাদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। নতুন করে বৃষ্টি আমাদের চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিল। তিনি জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানে নগর পরিকল্পনাবিদদের সমন্বয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, জেলায় নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ফেঞ্চুগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, নগরীতে জলাবদ্ধতা যাতে না হয়, সে জন্য আমাদের লোকজন মাঠে কাজ করছে। এখন লোকজনকে সচেতন থাকতে হবে, যাতে তারা নালা-নর্দমা পরিষ্কার রাখেন।
এদিকে গাবিয়ার খাল থেকে মরদেহ উদ্ধার হওয়া শিশু আরাবের বাবার নাম সাবের আহমদ। তারা ইঙ্গুলাল রোডের বাসিন্দা। স্থানীয়রা জানান, সকাল থেকে হওয়া ভারী বর্ষণে সাবের আহমদের ঘরের সামনেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছিল। দুপুর ১২টার দিকে শিশু আরাব সবার অগোচরে ঘরের সামনে পানিতে খেলতে নামে। এ সময় পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গাবিয়ার খালের তীব্র স্রোতে আরাব ভেসে যায়। অনেকক্ষণ আরাবের খোঁজ না পেয়ে খালের দু’পাশে তাকে খুঁজতে থাকেন স্বজন ও প্রতিবেশীরা। পরে স্রোতের ভাটির দিকে আরাবের দেহ ভাসতে দেখা যায়। তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd