নিজস্ব প্রতিবেদক :: কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে সিলেটে দ্বিতীয় দফায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এতে লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট ও জৈন্তাপুরের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। সেখানকার অধিকাংশ এলাকার সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এই চার উপজেলার পানিবন্দি মানুষ ছুটছেন আশ্রয়কেন্দ্রে।
এদিকে সুরমা, কুশিয়ারা, সারি, পিয়াইন, লোভা, ডাউকিসহ সবকটি নদীর পানি বেড়েছে। ১০টি পয়েন্টের মধ্যে সুরমা ও কুশিয়ারার পয়েন্টসহ ৬টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপরে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর তীর উপচে পানি ঢুকছে লোকালয়ে। ফলে প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে সুরমা নদীর কানাই পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৩৬ সেন্টিমিটার, সিলেট পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার, কুশিয়ার অমলশীদ পয়েন্টে ২৭ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৮০ সেন্টিমিটার, সারিগোয়াইন পয়েন্টে ২৫ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
পাউবো সিলেটে নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, ভারতের মেঘালয়ে বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড়ি ঢল নেমে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসেন জানান, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টায়) ১৫৩ মিলিমিটার ও মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানান, সকাল থেকে লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে উঠছেন। পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত আছে। আজ ১২ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছাড়াও চাল ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
এর আগে, চলতি বছরের মে মাসের শেষের দিকে সিলেটে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়।
Sharing is caring!