বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : সিলেটের বিশ্বনাথে ‘সংগঠনের বিরুদ্ধে অগঠনতান্ত্রিক, ঔদ্বত্যপূর্ণ ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিকস মিডিয়ায় প্রচারের মাধ্যমে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন, শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে’ দুই নেতাকে সাময়িক বহিস্কার করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। সাময়িক বহিস্কারকৃত দুই নেতা হচ্ছেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মতিন এবং কার্যনির্বাহী সদস্য কাউন্সিলর ফজর আলী।
এছাড়া তাদেরকে ‘কেন স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হইবে না’ সাময়িক বহিস্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহনের সময় (২৯ জুন) হইতে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে, অন্যথায় গঠনতন্ত্রের আলোকে তাদের স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হবেও সাময়িক বহিস্কারাদেশে উল্লেখ করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ আসাদুজ্জামান আসাদ ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ স্বাক্ষরিক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদের সংগঠনের দুই নেতাকে সাময়িক বহিস্কার ও শোকজ করার সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের কাছে প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিলেট জেলা ও বিশ্বনাথ উপজেলা শাখার বিরুদ্ধে অগঠনতান্ত্রিক, ঔদ্ব্যত্যপূর্ন ও কুরুচিপূর্ন বক্তব্য প্রদান করে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিকস মিডিয়ায় প্রচারের মাধ্যমে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন, শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ‘প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ধারা ৪৭ এর ‘ঞ’ মতে বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মতিন ও কার্যনির্বাহী সদস্য ফজর আলীকে স্ব স্ব পদ, দায়িত্ব থেকে সংগঠনের বৃহত্তর স্বার্থে সাময়িক বহিস্কার করা হইল এবং তাদেরকে স্থায়ীভাবে কেন বহিস্কার করা হইবে না, অদ্য হইতে আগামী ১৫(পনের) দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হইল। অন্যথায় গঠনতন্ত্রের আলোকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হইবে।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য কাউন্সিলর ফজর আলী বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। সংগঠনের বিরুদ্ধে কোন কাজ না করার পরও একটি চক্র আমাকে ঘায়েল করার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমি বিষয়টি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগকে অবহিত করব, প্রয়োজনে আইনী আশ্রয় নেব। তারপরও কিছু না হলে আমৃত্যু আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে নৌকার পক্ষে কাজ করে যাব।