সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৩৯ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৮, ২০২৪
তাহিরপুর প্রতিনিধি :: সীমান্ত ছড়া নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিনে বালু-পাথর উত্তোলনের অভিযোগে ১২ জনের নামে থানায় মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া বাল্কহেড, ইঞ্জিনচালিত ট্রলার, বালু-পাথরসহ ৭৫ লাখ টাকার মালামাল জব্দ করা হয়েছে।
শনিবার মধ্যরাতে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ থানায় ১২ জনকে অভিযুক্ত করে মামলাটি করে পুলিশ। রোববার দুপুরে গ্রেফতার ১১ জনকে সুনামগঞ্জ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান জামালগঞ্জ থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস।
মামলার আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের কলাগাঁও সীমান্ত গ্রামের মৃত জয়ধরের ছেলে এমরুল হাসান ওরফে ট্রলি এমরুল (এক সময়ের ট্রলিচালক), একই উপজেলার একই ইউনিয়নের কলাগাঁও গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে হৃদয় মিয়া, সুশীল দাসের ছেলে শুভ দাস, ফুল মিয়ার ছেলে শাহনূর মিয়া, মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে নয়ন মিয়া, মৃত সৈয়দ হোসেনের ছেলে হবি নূর, মৃত ছাবিদ আলীর ছেলে মাহিন মিয়া, আছর আলীর ছেলে সুজন মিয়া, শিরু মিয়ার ছেলে জামাল হোসেন, উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের রামজীবনপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে আরিফ হোসেন ও বাল্কহেড মাঝি এবং সুকানি বরগুনা জেলার কুমারখালী উপজেলার গৌরিন্না ইউনিয়নের খাজুরতলা গ্রামের কোব্বাত আলীর ছেলে জামাল আকন্দ ও একই জেলার সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের মৃত হাতেম আলীর ছেলে আব্দুল জলিলসহ অজ্ঞাতনামা ২-৩ ব্যক্তি।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কলাগাঁও সীমান্ত ছড়া নদী থেকে বালু-পাথর উত্তোলন করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে সন্ধ্যায় জামালগঞ্জ থানার পুলিশ টিম সুরমায় লোড করা ওই বাল্কহেড, দুটি স্টিলবডি ইঞ্জিলচালিত ট্রলার, বালু-পাথরসহ প্রায় ৭৫ লাখ টাকার মালামাল জব্দ করে। একই সঙ্গে ১১ জনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় ট্রলার নিয়ে এমরুলসহ কয়েকজন অজ্ঞাত কৌশলে পালিয়ে যায়।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানান, তাহিরপুর উপজেলার কলাগাঁও সীমান্ত গ্রামের এমরুল হাসান ওরফে ‘ট্রলি এমরুল’ তাহিরপুর-জামালগঞ্জ দুটি উপজেলায় থাকা একটি যৌথ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এভাবেই গত এক থেকে দেড় মাস ধরে সরকারি কাজের কথা বলে ওই সীমান্ত ছড়া নদীতে ড্রেজার মেশিনে, কখনো কখনো রাতের আঁধারে নদীর তীর কেটে বালু পাথর উত্তোলনের পর বাল্কহেডবোঝাই করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে আসছিল।
রোববার বিকালে সহকারী পুলিশ সুপার (তাহিরপুর-জামালগঞ্জ সার্কেল) মো. নাসিম উদ্দিন জানান, জামালগঞ্জ থানায় এমরুলসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে শনিবার রাতে একটি মামলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তাহিরপুর থানায় আরও একটি মামলার তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে সীমান্ত ছড়া নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিনে, নদীর তীর কেটে খনিজ বালু-পাথর উত্তোলনের বিষয়টি কেউ তাকে জানাননি বলে জানান।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সালমা পারভিন বলেন, উপজেলার কলাগাঁও সীমান্ত ছড়া নদী বালু পাথর উত্তোলনের জন্য সরকারিভাবে ইজারা প্রদান করা হয়নি। অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিনে ওই নদী থেকে খনিজ বালু-পাথর উত্তোলনের পর অন্যত্র বিক্রি এবং জামালগঞ্জের সুরমা নদীতে বাল্কহেড বোঝাই বালু-পাথর জব্দ ও জড়িতদের নামে মামলা দায়েরের বিষয়টি জেনেছেন বলে জানান তিনি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd