সিলেট ৩১শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:২৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৭, ২০২৪
ক্রাইম প্রতিবেদক:- সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সকল কর্মকর্তাকে এক রকম চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির ক্ষমতাধর আইসি দিবাংশু পালকে ম্যানেজ করে আবারও জমে উঠেছে টার্মিনালের ৩ কুতুবের সেই জুয়ার বোর্ডটি।
এই জুয়ার বোর্ডটি পরিচালনা করেন একাধিক মামলার আসামী রাজন মোল্লা, মিতালী বাস শ্রমিক নেতা সেলিম মিয়া ও দক্ষিণ সুরমার প্রসিদ্ধ জুয়াড়ী আল আমিন। এখানে থানা কিংবা ডিবি পুলিশ কোন রকম অভিযান চালায় না অদৃশ্য কারণে। সিলেট কদমতলী বাসটার্মিনালের যমুনা মার্কেটের পাশেই গুডলিংক বাস কাউন্টারের পিছনে রয়েছে স্থানীয় পাপ্পু মিয়া নামের একজনের একটি ভবন। সেই ভবনের নিচতলায় বসানো হয়েছে এই জুয়ার আসরটি।
প্রতিদিন বিকাল ২টা থেকে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জুয়া খেলার জন্য আসতে থাকেন নানা শ্রেণী-পেশার মানুষজন। শুধু জুয়া নয় সেখানে রাজনের নেতৃত্বে প্রকাশ্য বিক্রি করা হয় মাদক দ্রব্য। পরদিন ভোর পর্যন্ত চলে সেই জুয়ার আসরটি। জুয়াড়ী রাজনের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা মোকদ্দমাসহ নানা রকম অসামাজিক কাজের অহরহ অভিযোগ।
সরেজমিন গেলে গোপন একটি সূত্র নিশ্চিত করে, টার্মিনাল পুলিশ ফাঁড়ির আইসি দিবাংশু পালকে প্রতিদিন এই জুয়ার আসর থেকে রাজন মোল্লার মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা বখরা দেওয়া হয়ে থাকে। পাশাপাশি শ্রমিকদের সামাল দিতে এবং কোন রকম পুলিশি অভিযান হলে যাতে শ্রমিক এসে অভিযানে বাধা প্রদান করে সেই জন্য শ্রমিক নেতা সেলিম ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন বলে নাম প্রকাশে অনইচ্চুক এক ব্যক্তি জানান। শ্রমিকদের মাথা বিক্রি কওে শ্রমিক নেতা সেলিম মিয়া নিজের আখের গুছিয়ে নিচ্ছেন এই জুয়ার আসর থেকে।
এর আগে উক্ত এলাকায় একটি জুয়ার আসর বন্ধ করতে গিয়ে হেনাস্তার শিকার হয় ডিবি পুলিশের একটি অভিযানিক টিম। এরপর থেকে এই এলাকায় কোন জুয়ার আসরে চালানো হয়না অভিযান। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রাজন মোল্লা, আল আমিন জুয়ার আস্তানাটি গড়ে তুলে। আর তাদের সব রকম শেল্টার দিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিক নেতা সেলিম মিয়া। জুয়ার আস্তানাটি শ্রমিকদের এলাকায় হওয়ায় সহজে অভিযান চালায় না আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। ফলে নির্বিগ্নেই চলছে তাদের বিশাল সেই জুয়ার আসর।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে রাজন মোল্লা ও আল আমিন বলেন, এখানে শ্রমিকরা জুয়া খেলে শ্রমিকনেতা সেলিম ভাই খেলার ব্যবস্থা করে দিছেন।
এ বিষয়ে টার্মিনাল পুলিশ ফাঁড়ির আইসি দিবাংশু পালের সরকারি সেলফোন যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য সংগ্রহ করা যায়নি।
এদিকে সিলেট নগরীর সব কয়টি জুয়ার বোর্ড একাধিকবার অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে ডিবি পুলিশ, কিন্তু কি করে টার্মিনাল ফাঁড়ির আইসি এই জুয়ার আসরটি বসিয়েছেন? এমন প্রশ্ন সাধারণ মানুষের।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd