সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:১১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৩, ২০২৪
আলী হোসেন, গোয়াইনঘাট :: সীমান্ত জনপদ সিলেটের গোয়াইনঘাট থানা কমপ্লেক্সে, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, উপজেলা প্রশাসনিক ভবন, ইমরান আহমদ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ, সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য সুবাস দাস’র বাসায় হামলা, আওয়ামী লীগ নেতা ইমরান আহমদ সুমন’র বাসা ও ফেক্টোরিতে অগ্নিসংযোগ, ওয়ার্ড সদস্য মো: কামাল হোসেন’র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসায় হামলা এবং চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে উল্লাসিত জনতা।
গত ৫আগষ্ট বিকেলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ ও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পরপরই। সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় শুরু হয় তুমুল উত্তেজনা, ভাংচুর, লুটপাট। বিজয় উল্লাসের নামে স্থানীয় জনতা দফায় দফায় হামলা করেছে উপজেলার সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায়। ঐ দিন সন্ধ্যায় জেলা পরিষদের সদস্য সুবাস দাস’র উপজেলা সদর ও গ্রামের বাড়ি ডৌবাড়ী ইউনিয়নের লামাদুমকা গ্রামে ইটপাটকেল,ভাঙচুর, লুটপাট করেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এরপর সুবাস দাসের মামা ডৌবাড়ী ইউনিয়নের কামাইদ গ্রামের শ্রী নৃপেশ দাসের বাড়িতেও লুটপাট করে লক্ষ লক্ষ টাকার মালামাল নিয়েছে উত্তেজিত জনতা।
এছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইমরান আহমদ সুমন’র বাসা ও ফেক্টোরিতে অগ্নিসংযোগ। উপজেলা যুবলীগের সদস্য এবং ১নং রুস্তমপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য মো: কামাল হোসেন’র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসায় হামলাসহ লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
পরে স্থানীয় জনতার একটি সংঘবদ্ধ চক্র গোয়াইনঘাট পুলিশ স্টেশনের বাহিরের ফটকের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে গ্যারেজে থাকা সরকারি ৩টি গাড়িতে হামলা করে গাড়িগুলো বিনষ্ট করে। একপর্যায়ে থানার ভেতরের মূল গেইট ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে থানার অফিসার ইনচার্জ’র কক্ষ, এসআই কক্ষ ও এএসআই কক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, বিভিন্ন মামলায় জব্দকৃত প্রায় শতাধিক মটরসাইকেল, মোবাইফোনসহ আমদানি নিষিদ্ধ কয়েক লক্ষ টাকার চিনি, পেয়াজ ও পুলিশের কাজে ব্যবহৃত ল্যাপটপসহ আরোও বিভিন্ন মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায় আন্দোলনকারী ছাত্র জনতা নামের একটি চক্র। এ ঘটনার ৮দিন পার হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত পুলিশ শূণ্য অবস্থায় রয়েছে গোয়াইনঘাট পুলিশ স্টেশন।
প্রায় আড়াই লক্ষ জনপদ নিয়ে ৪৮১.১৩ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের গোয়াইনঘাট উপজেলায় ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। প্রতিদিন কোন না কোন ইউনিয়নে দাঙ্গা হাঙ্গামার ঘটনা ঘটছে। আর ঐসব ঘটনা নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ হওয়ার কথা থাকলেও থানায় কোন পুলিশ সদস্য না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের। এদিকে উপজেলার সচেতন মহলের দাবি, থানায় পুলিশ সদস্যরা থাকলে এলাকায় চুরি-ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ প্রবনতা থেকে রক্ষা পাওয়া গেলেও। কয়েকদিন থেকে শংকায় দিনরাত পার করছেন স্থানীয়রা। তাই অনতি বিলম্বে গোয়াইনঘাট থানায় পুলিশ সদস্যদের যোগদান না করলে জনসাধারণের ভোগান্তিসহ অপরাধ প্রবনতার অন্ত ছাড়িয়ে যাবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd