সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:৫০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৪
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : গত ৫ আগস্ট হাসিনার পতন ও দেশত্যাগের সিদ্ধান্তকে বাংলাদেশের আন্দোলনকারীদের সাথে উল্লাসে মেতে উঠে সারাদেশের মানুষ। ওই দিন বিকালে কিছু উৎসুক জনতা সরকারি স্থাপনায় হামলা করে। তারই ধারাবাহিকতায় সিলেটের গোয়াইনঘাট থানায়ও হামলা চালানো হয়। হামলার সময় থানা থেকে আটক রাখা ভারতীয় চিনি লুটপাট করা হয়। সেই লুটপাট থেকে কিছু উৎসুক জনতা গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নে সোনারহাট বিজিবি ক্যাম্পে হামলা করার চেষ্টা চালায়। এসময় বিজিবির সদস্যরা দুষ্কৃতিকারীদের বাঁধা প্রদান করেন। কিন্তু দুষ্কৃতিকারীরা তাদের কোন বাঁধা মানেনি। পরে বিজিবির সদস্যরা বাধ্য হয়ে দুষ্কৃতিকারীদের উপর গুলি চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
তাদের গুলিতে তিনজন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃত পরিবারের পক্ষে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। এই মামলায় বিজিবি সদস্যদের আসামি করা হয়েছে। পরে বিজিবি সদস্যরা আরেকটি পাল্টা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় আসামি করা হয়েছে পশ্চিম জাফলং ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহীনকে।
কিন্তু এস এম শাহীন দলের নির্দেশ অনুযায়ী তিনি জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের সাথে সিলেট নগরীতে আন্দোলনে অংশ নেন। পরদিন ৫ আগস্ট তিনি এলাকায় পৌঁছেন। তিনি এই হামলার বিষয়ে কিছু্ই জানেন না। বিজিবি সোনারহাট বিজিবি ক্যাম্পে হামলার সাথে এস এম শাহীন কোন ভাবেই জড়িত নয়। আওয়ামী লীগের ইন্দনে বিজিবি সদস্যরা এস এম শাহীনকে মামলার সাথে জড়িয়েছেন।
এস এম শাহীন তিনি বর্তমানে পশ্চিম জাফলং ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য ও ২০১৪ সালের মনাইকান্দি সেন্টারের সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক ছিলেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd