সিলেট ৩১শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:১৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনকালীন ৪ আগস্টে বিএনপি-যুবদল-ছাত্রদলের মিছিলে হামলা-গুলিবর্ষণকারী পুলিশ সদস্যকে নতুন কর্মস্থলে পদায়ন করা হয়েছে। এমন ঘটনায় মামলার বাদিসহ যুবদল-ছাত্রদল পরিবারের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের শাস্তির আওতায় না নিয়ে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে পদায়ন করাকে ‘পুরস্কৃত করা’ বলে অভিহিত করছেন মামলার বাদীরা। নবনিযুক্ত পুলিশ কমিশনার মো. রেজাউল করিমের এমন নির্দেশনা অবিলম্বে প্রত্যাহার করে দোষী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তি গ্রহণ ও তাদেরকে গ্রেফতারের দাবি উঠেছে। যুবদল-ছাত্রদল নেতারা এসএমপি কমিশনারের এমন আদেশকে অদূরদর্শিতা মনে করছেন।
সংশ্লিষ্টসূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সিলেট মহানগর পুলিশের (এমএমপি) কমিশনার মো. রেজাউল করিম এক আদেশে ৬০ এসআইকে (নিরস্ত্র) পুরনো কর্মস্থল থেকে ‘জনস্বার্থে’ বদলি করে নতুন কর্মস্থলে পদায়ন করা হয়েছে। কমিশনারের আদেশ নং ২০৯৯। আদেশের ৫৭ নং ক্রমে নাম রয়েছে পলাশ চন্দ্র দাশ (বিপি-৯০১৯২২২৯২৬)। তিনি এসএমপির গোয়েন্দা বিভাগে (ডিবি) কর্মরত। তাকে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল পুলিশ বক্সের আইসি হিসেবে। ৩ দিনের মধ্যে তাকে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের ছাড়পত্র প্রদান করার নির্দেশনাও দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। পাশাপাশি বদলিকৃত এসআইদের সংশ্লিষ্ট বিভাগসহ সিলেটের কেন্দ্রীয় রিজার্ভ অফিসের মাধ্যমে বদলিকৃতদের নতুন কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দিতে অনুরোধ করেছেন পুলিশ কমিশনার। এসআই পলাশ চন্দ্র দাশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় বিএনপি-ছাত্রদল-যুবদলের মিছিলে গুলি চালানো অতি উৎসাহী পুলিশ সদস্য-কর্মকর্তাদের মধ্যে অন্যতম।
তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না উল্টো তাকে পুনর্বাসনের অপচেষ্টাকে ছাত্র-জনতার ত্যাগের সাথে প্রতারণা মনে করছেন মামলার বাদিরা। মামলার বাদী ২১ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের আহ্বায়ক জুবেল আহমদ স্বপন ও ছাত্রদল নেতা সাজন আহমদ সাজু পুলিশের গুলিতে চোখে আঘাত পেয়েছেন। তারা এখনও চিকিৎসাধীন আছেন। ৪ আগস্টের ঘটনায় তাদের দু’জনের দায়েরকৃত মামলায় অন্যতম আসামি হচ্ছেন পলাশ চন্দ্র দাশ। তার সাথে অন্য আসামিরা হচ্ছেন মহানগর পুলিশের সদ্য সাবেক কমিশনার জাকির হোসেন খান, মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার তাহিয়াত আহমদ চৌধুরী, ক্রাইসিস রেসপন্স টিম (সিআরটি)- সিলেটের প্রধান শাহরিয়ার আল মামুনসহ আরও কয়েকজন। একই ঘটনায় অনুরূপ আরেকটি মামলা করেন সাজন আহমদ সাজু। তিনি দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজের ছাত্র। তিনিও চোখে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন সেদিন।
অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে না গিয়ে তাদেরকে নতুন কর্মস্থলে পদায়ন বিষয়ে বক্তব্য জানতে পুলিশ কমিশনার মো. রেজাউল করিমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হয়। কল রিসিভ হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসএমপি’র উপ-কমিশনার (সদর ও প্রশাসন) তোফায়েল আহমেদ জানান তিনি একটি জরুরি মিটিংয় আছেন। পরবর্তিতে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলবেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd