সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:৫৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৯, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, গোয়াইনঘাট :: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার মাসুদ পারভেজ যোগদানের পর থেকে অনিয়ম আর দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে এস আর অফিস। তিনি অভিনব কৌশল অবলম্বন করে দলিল প্রতি লেইট ফি, আইডি কার্ড, পর্চায় নামের আক্ষরিক ভূল ধরে সংশোধনের পরও ইচ্ছামত টাকা না দিলে দলিল নিবন্ধন করেন না। তার অনিয়মে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব আর এলাকায়া জমিনিয়ে বাড়ছে প্রাণঘাতি বিরোধের শঙ্কা।
মঙ্গলবার বিকেল ৫ টায় সরজমিন অফিসে গিয়ে দেখা যায় দলিল দাতা গ্রহীতাদের বাকবিতন্ডা। শতশত লোক জড়ো রয়েছেন। সাবরেজিস্টার তার খাস কামরায় বসা রয়েছেন। পিরিজপুর গ্রামের মুসলেখ উদ্দিনসহ কয়েকজন দলিল দাতা বলেন যথা সময়ে দলিল উপস্থিত হলেও বেলা ৩টার পর উনি খাস কামরায় চলে যান, এজলাসে ১৫/২০ মিনিট সময় দিয়ে চলে যান খাসকামরায়। আর আমরা নারী শিশু নিয়ে সারা দিন কষ্ট করছি আজ দলিল না হলে রাতেও আমরা যাবোনা। অযতা সময় নষ্ট করে ৩ টার পর লেট ফি কৌশলে আদায় করেন।
সকাল ৯টায় আসা সিলেটের শাহপরান এলাকার আল আমিন বলেন, দলিল দিতে এসেছি সংঙ্গে বৃদ্ধ মহিলারা রয়েছেন। কিন্তু দলিল নিবন্ধন সারাদিনে হচ্ছে না। এস আর কিছু সময় পরপর খাস কামরায় চলে যান। সন্ধ্যার পর দলিল হলো এখন মহিলা নিয়ে বাড়ি যেতে পারবো কি না চিন্তায় আছ। একটি দলিল দিতে কয়েকদিন আসতে হয় এমন ভোগান্তি আর কত সহ্য করতে হবে। এস আর মাসুদ পারভেজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নতুন নয়। এবছরের ৮ ফেব্রোয়ারী দলিল নিবন্ধে লেটফি আদায়, পর্চা, আইডিতে আক্ষরিল ভূল বিষয়ে সংশোধিত হওয়ার পরও উৎকোচ গ্রহন, অফিসে সরকারী কর্মচারী নয় এমন লোক রেখে বখরা আদায় বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বরাবরে আবেদন করেন নয়াখেল গ্রামের আজির উদ্দিন। তার পর থেকে তার দুর্নীতির মাত্রা আরও বেড়ে যায় বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ রয়েছে। দলিল লেখকরা জন ভোগান্তি দেখলেও কথা বলতে পারেন না লাইসেন্স হারানোর ভয়ে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলিল লেখকরা জানান, এসকল দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের হাতিয়ার হচ্ছে সবুজ নামের এক যুবক। এই সবুজের মাধ্যমেই সকল অবৈধ টাকা লেনদেন করা হয়। সবুজের ইশারায় সাব রেজিস্ট্রার মাসুদ পারভেজ চলেন। সাব রেজিস্ট্রার মাসুদ পারভেজের সাথে সাথে সবুজও আঙ্গল ফুলে কলাগাছ। এদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত করা একান্ত জরুরি বলে দাবি করছেন দলিল লেখকরা।
গত ২৯ অক্টোবর বিকেল ৫ টায় অফিসে গিয়ে দেখা যায় অফিস ষ্টাফ, দলিল লিখকদের নিয়ে খাস কামরায় সভা করছেন আর বাহিরে শত শত লোক দলিল নিবন্ধনের জন্য চেচামেচি করছেন। এ সময় স্থানীয় সাংবাদিকরা বিষয়টি জানতে ঘটনা স্থলে যান। এসময় তিনি বলেন সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত দলিল দাখিল কারর সময়। অভিযোগ রয়েছে তিনি নিজেই অফিসে লেট করে আসেন, দুপুরের খাবারে চলে যায় ঘন্টা, দিতে হয় লেটফি।
এ সময় সাব রেজিস্টার সাংবাদিকদের নিউজ না করার অনুরোধ করেন এবং ক্যামেরার সামনে সাক্ষাৎকার দিতেও চাননি। তবে সেবাগ্রহীতাদের সকল অনিয়মের কথা অস্বীকার করেন। এলাকার ভোক্তভোগিরা এসআর এর অনিয়ম দুর্নীতির হাত থেকে রক্ষার জন্য এবং সরকারের রাজস্ব আদায়ের স্বর্থে সপ্তাহে ৩দিনের বদলে পূরোসপ্তাহ দলিল নিবন্ধন করতে মহা নিবন্ধকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd