সিলেট ৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩০শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:৪২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৩, ২০২৫
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : কুয়াশা ঘেরা রাতে মহাসড়কগুলোতে দেখা দিয়েছে মহা আতঙ্ক। গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনায় জনমনে বিরাজ করছে ভয় ও উৎকণ্ঠা। সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের দাড়াখাই নামক স্থানে গাছ ফেলে যানবাহন আটকে যাত্রীদের জিম্মী করে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে গেছে একদল ডাকাত। এসময় আহত হয়েছেন কয়েকজন যাত্রী। এ নিয়ে সর্বত্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
জানা গেছে, বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নে দারাখাই নামক স্থানে গাছ কেটে ২০-২৫ জনের একটি ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, রামদা ও ধারালো ছুরি নিয়ে একটি লরি গাড়ির গতিরোধ করে। পরে এই লরিটি সড়কের মাঝখানে রেখে সুনামগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা দুটি যাত্রীবাহী বাসসহ (আল-মোবারক ও মামুন পরিবহন) ২ টি গাড়ির চালক ও কয়েকজন যাত্রীদের সর্বস্ব লুটে নেয় ডাকাতদল। এ সময় হামলায় ৪/৫ জন যাত্রী আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডাকাতির সময় যাত্রীবাহী বাসে থাকা মনির হোসেন বলেন, আমার বাবা ঢাকায় একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। চিকিৎসার টাকা নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিলাম। ডাকাতরা সব নিয়ে গেছে। প্রায় এক লাখ ১০ হাজার টাকা ছিল।
অপর যাত্রী রাসেল মিয়া বলেন, বাসে থাকা যাত্রীদের মোবাইলসহ সবকিছু নিয়ে গেছে। মহিলাদের কাছে স্বর্ণালংকার ছিল। চালককে মারধর করা হয়েছে। গাড়িতে ভাঙচুর অনেকে আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী আলী হোসেন নামের এক প্রাইভেটকার চালক বলেন, সামনে ৪-৫টি গাড়ি দাড়ানো দেখে ডাকাতির বিষয়টি বুঝতে পারি। তাই দ্রুত গাড়ি চালিয়ে কলকলিয়া বাজারে চলে যাই। এসময় ডাকাতরা আমার গাড়িতে হামলা করে বেশ ভাঙচুর করে। পরে কলকলিয়া বাজার থেকে স্থানীয়দের নিয়ে এসে ধাওয়া দিলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় যুবক যোবায়ের আহমদ বলেন, খবর পেয়ে আমরা স্থানীয় এলাকাবাসী ডাকাতদের ধাওয়া করি। তখন অনেকে আহত হয়েছেন। চারটি গাড়ির সবার মোবাইল ফোনসহ সব কিছু নিয়ে গেছে। ঐ স্থানে এক সময় প্রায়ই ডাকাতি হতো। দীর্ঘদিন দারাখাই এলাকায় এমন ঘটনা বন্ধ ছিল। বর্তমানে পুলিশ টহল না থাকায় আবারও ডাকাতি শুরু হয়েছে।
জগন্নাথপুর থানার ওসি রুহুল আমীন বলেন, যে স্থানে ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে সেটা ছাতক থানার অধীন। এ ব্যাপারে ছাতক থানায় মামলা হয়েছে। খবর পেয়ে আমি ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম।
এ ব্যাপারে ছাতক থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া হাসান বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছি। আমরা শুধু ২টি গাড়ি থেকে ৮ জন যাত্রীর মালামাল খোয়া যাওয়ার তথ্য পেয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত আমরা শুধু দুটি গাড়ীর চালক-হেল্পারের সাথে কথা বলতে পেরেছি। পাশাপাশি ডাকাতির সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান জোরদার করেছি। অল্প সময়ের মধ্যেই ডাকাত দলকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পুলিশ কাজ করছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd