সিলেট ২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:০৫ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৩, ২০২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট নগরীর ভয়ংকর নারী ছিনতাইকারী পপি চক্রে সদস্যরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এই চক্রে সদস্যরা নগর জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে সিলেট মহানগরের সোবহানীঘাট এলাকা থেকে দুজন ও পরদিন (২১ জানুয়ারি) বিকালে শাহজালার উপশহর থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন মুলহোতা আলোচিত নারী ছিনতাইকারী পপি।
নগরীর ব্যস্ততম পয়েন্ট ও শপিং মহল গুলোতে ক্রেতাদের মোবাইল ফোন ও ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায় এই আলোচিত মহিলা ছিনতাইকারী পপি।
এখন পপি ছিনতাইয়ের কৌশল পরিবর্তন করেছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। মহিলা ছিনতাইকারী পপির নেতৃত্বে পুরো নগরীর বিভিন্ন প্রান্তে ছিনতাই সহ নানা রকম অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে চক্র। মহিলা ছিনতাইকারী পপি এতোটাই প্রভাবশালী যে পুলিশ প্রশাসন স্থানীয় প্রভাবশালী কাউকে পরোয়া করছে না। এখন সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছিনতাই করে চলেছেন তারা। সিএনজিচালিত অটোরিকশা চোর চক্রের ৩ জনকে পৃথক অভিযানে গ্রেফতার করেছে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে অটোরিকশাও।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, এ ঘটনায় আরো ৩/৪ জন জড়িতে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার হুমায়ুনপুর গ্রামের মৃত নানু মিয়ার ছেলে আশিক উদ্দিন (৪০), কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার কলদুরগ্রাম (হরিশচর বাজার)-এর বিল্লাল আহমেদের ছেলে জয়নাল আহমেদ (২৯) ও সিলেট মহানগরের শাহজালাল উপশহর ২ নং রোডের এইচ ব্লকের মমতাজের বাসার ভাড়াটে রিয়া আক্তার (১৯)। তাদের দেওয়া তথ্যমতে পরে চুরিকৃত অটোরিকশাটি সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার থানার উত্তর টিলাগাঁওস্থ (৯নং সুরমা ইউ/পি) আঙ্গুর মিয়ার বাড়ির উঠান থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
গত ১৮ জানুয়ারি সকালে দক্ষিণ সুরমার মোমিনখলাস্থ শাহজালাল সিএনজি পাম্প হতে নাঈম আহমেদ বিজয় (২৫) নামে একজনের সিএনজিচালিত অটোরিকশা চুরি হয়ে যায়। ঘটনার পর নাঈম আহমদ বিজয় বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। দুদিনের চেষ্টায় পুলিশ এ চুরির ঘটনায় জড়িত নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে।
এদিকে পপির কথা হচ্ছে টাকা থাকলে সবাইকে কেনা যায়, তাহলে কি পপি আলোচিত সেই পাপিয়ার রূপ নিচ্ছে? ছিনতাইকারী পপির মদদদাতা কারা জনমনে প্রশ্ন থেকে যায়। লোক মুখে শুনা যায় ছিনতাইকারী পপির প্রত্যক দিনের আয় ৫০ হাজার টাকা। এই অবৈধ পন্থায় আয়ের ফলে অল্পদিনে বিপুল সম্পদের মালিক বনে গেছে পপি।
সিলেট উপশহর এইচ ব্লকে পপির ১০ ডিসিমেল জায়গা ও নিজস্ব বিলাস বহুল বাসা রয়েছে আর এই বাসায় দেহ ব্যবসা ও মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানাযায়, পপির নামে সিলেট শহরের বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরি ও ইয়াবা মামলা রয়েছে (যাহার নং-১০/৫৩৪ কোতয়ালী মডেল থানা, যাহার নং-৩/২২৯ কোতয়ালী মডেল থানা)। এছাড়া পপির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চুরি-ডাকাতির মামলা রয়েছে। এমনকি বেশ কয়েক বার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেও জামিনে মুক্তি পেয়ে বেরিয়ে এসে পপি আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd