নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সীমান্ত জনপদ পর্যটন নগরীর জাফলং কোন ভাবেই শান্ত হচ্ছে না। বিগত দিন সময় আওয়ামী সরকারের আমলে গ্রুপিং সংঘর্ষ ও দখলবাজি-চাঁদাবাজিতে অশান্ত ছিলো। ঠিক তেমনি বর্তমানে একই কায়দায় জাফলংয়ের পরিস্থিতি উত্তপ্ত রয়েছে। বিএনপির মধ্যে কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হয়েছে জাফলংয়ের চাঁদাবাজি। একটি গ্রুপ দায়িত্ব নিয়েছেন পাথর-বালুর লুটপাটে চাঁদাবাজি। অন্যগ্রুপ ভারতীয় চোরাই চালানের লাইনে চাঁদাবাজি। তাদের চাঁদাবাজির টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে সর্বদা সংঘর্ষ লেগেই আছে।
গত সোমবার রাতে সিলেট জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেমের ভারতীয় চোরাই লাইনে পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা আজির উদ্দিন লাইনে চাঁদার ভাগ না পেয়ে প্রতিবাদ করেন। পরে আবুল কাশেম ও তার সহযোগীরা উত্তেজিত হয়ে মামার দোকান থেকে আজির উদ্দিনকে তুলে নিয়ে যায় নলজুরী এলাকায়। পরে এ ঘটনায় পুরো জাফলংয়ে আজির উদ্দিন সমর্থিত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ও আবুল কাশেমের সমর্থিত যুবদলের দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্তা বিরাজ করে। গভীর রাত পর্যন্ত উভয় গ্রুপেই মধ্যে চলতে থাকে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া।
পরে খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের এসআই ওবায়দুল হাসান সঙ্গীয়ফোর্স নিয়ে নলজুরী থেকে ভিকটিম আজির উদ্দিনকে উদ্ধার করে গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেন।
এ ঘটনায় গোয়াইনঘাট থানায় আজির উদ্দিনের পরিবারের পক্ষে মামলা দায়ের চেষ্টা করা হলেও উপরের নির্দেশে থানায় মামলা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।

Sharing is caring!