সিলেট ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২০শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৫৮ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :: শাহপরাণের পাঁচঘরীতে প্রতিপক্ষের হামলা-ভাংচুর, ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৪ এপ্রিল শাহপরাণ থানার পাঁচঘরী গ্রামের মৃত মো. আছর উদ্দিনের ছেলে মো. ইসরাইল আলী বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ১৫/২০ জনকে আসামী করে শাহপরাণ (রহ:) থানায় একটি মামলাটি দায়ের করেন। মামলার নং- ১০ (১৪-০৪-২৫), জিআর-৯৫/২৫।
মামলার আসামীরা হলেন-শাহপরাণ থানার পাঁচঘরী গ্রামের আতাউর রহমান আতার ছেলে সামাদ (৩৫), একই এলাকার মৃত তরিক মিয়ার ছেলে আলী আহমদ (৩৫), মৃত ইসহাক আলীর ছেলে দোলাল মিয়া (৪০), তার ছেলে শাকিল (১৯), মৃত আতাউর রহমানের ছেলে ইউসুফ মিয়া (৩৫), মো. আসাব উদ্দিনের ছেলে রুহেল আহমদ (৩৬), মো. নাজিম উদ্দিনের ছেলে হোসেন আহমদ (২৫), মৃত বশির মিয়ার ছেলে এমাদ মিয়া (২৭), মৃত ইরন মিয়ার ছেলে সাজু মিয়া (৩৫), মো. মনাই মিয়ার ছেলে সুবেল মিয়া (৩৫), মৃত নইম উল্লার ছেলে নাজিম মিয়া (৫০) ও লিটন (৩৫)।
মামলার এজাহারে বাদি উল্লেখ করেন, ১৫ মার্চ দুপুর ২ টার দিকে ৭০ হাজার টাকা দামের একটি
গরু চুরি করে আসামী সামাদ, হোসেন, এমাদ ও সাজু জবাই কুরে খেয়ে ফেলে। ওইদিন আসামী ইউসুফ, রুহেল, জুনু তার বাড়ীর দক্ষিণে খুশিখালে ১টি নৌকা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়ে কুড়াল-সাবল দিয়ে ভাংচুর করে ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। এছাড়া উক্ত আসামীগণ একইদিন তার ও তার বড় ভাই মোছলেহ উদ্দিনের ৪টি ভ্যাল জাল আগুনে পুড়িয়ে দেয় ও ১টি জাল কেটে নষ্ট করে ২ লক্ষ টাকার ক্ষতি করে।
তিনি মামলায় আরো উল্লেখ করেন- তাদের পঞ্চায়েত থেকে একঘরি করে রাখে এবং মসজিদ, মাদ্রাসা, রাস্তাঘাটে চলাফেরা সরকারী হাওর ও নদীতে মাছ আহরণে বাধা সৃষ্টি করে আসছে আসামীরা। এমনকি তাদের মাসে ৫ হাজার টাকা করে নিয়মিত চাঁদা দেওয়ারও হুমকী-দমকী প্রদান করে। ২১ মার্চ বিকেল ৩ টার দিকে আসামী সামাদ ও আলী আহমদের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার বসত বাড়িতে গিয়ে তাকে না পেয়ে হামলা ভাংচুর চালায়।
এসময় আসামীরা তার স্ত্রীকে চড়-তাপ্পড়, কিলঘুষি ও লাথি মেরে তার শ্লীলতাহানী করে স্বর্ণালংকার ও নগদ ৩৮ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এদিকে ১১ এপ্রিল সকাল ৭ টার দিকে তার ছেলে ইমন খুশিখাল নদীতে গোসল করতে গিয়ে দেখে যে, তাদের ৪টি বড় নৌকা আসামী সামাদ, আলী আহমদ, হোসেন আহমদ, এমাদ মিয়া ও সাজু মিয়া নিয়ে যাচ্ছে। এতে তার ছেলে আসামীদের বাঁধা দিলে তাকে হুমকী দেয় ও আড়াই লাখ টাকার ৪টি নৌকা শাবল, রড ও কুড়াল দিয়ে ভাংচুর করে বলে বাদি মো. ইসরাইল আলী মামলায় উল্লেখ করেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd