সিলেট ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:০৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২১, ২০২৫
নিজস্ব সংবাদদাতা: সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ জোনের আওতাধীন দক্ষিণ সুরমা পুলিশ ফাঁড়ির এক পুলিশ সদস্য দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বির্তকিত কান্ডে জড়িত থাকায় অবশেষে তাকে বদলি করা হয়েছে। কিন্তু প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বদলির প্রায় ৫ মাস অতিক্রম হলেও অদৃশ্য কারণে দক্ষিণ সুরমা পুলিশ ফাঁড়ির মায়া ছাড়তে নারাজ এই পুলিশ সদস্য।
জানা গেছে- দক্ষিণ সুরমা পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশের এএসআই পদে কর্মরত- বকুল আহমদ, যাহার বিপি নং-৮৬০৬১১২৪৫০। তাকে প্রায় ৫ মাস আগে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তর জোনে বদলি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য বিগত ২০২৪ সালের (২১ নভেম্বর) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মোঃ রেজাউল করিম (পিপিএম সেবা) এর সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এই বদলীর আদেশ জানানো হয়েছে। বদলির প্রায় ৫ মাস অতিক্রম হলেও অদৃশ্য কারণে দক্ষিণ সুরমা পুলিশ ফাঁড়ির মায়া ছাড়তে নারাজ এএসআই বকুল আহমেদ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়- বদলিকৃত কর্মকর্তারা বর্তমান কর্মস্থল ছেড়ে নতুন কর্মস্থলে একই বছরের (২৬ নভেম্বর) এর মধ্যে যোগদানের জন্য কিন্তু কে শুনে কার কথা। এএসআই বকুল আহমেদ ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করে সিলেটের টাকার খনিখ্যাত ফাঁড়িতে টাকা সংগ্রহে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দক্ষিণ সুরমা পুলিশ ফাঁড়ির ঠিক সামনের হোটেল আকাশ ও হোটেল যাত্রীসেবা, কদমতলি এলাকার হোটেল সূর্য, পুরাতন স্টেশন রোডের বিরতি আবাসিক হোটেল, কদমতলি পয়েন্টের হোটেল কাশবন আবাসিক, হোটেল প্রবাস, পদ্মা আবাসিক হোটেল, মেঘনা আবাসকি হোটেল এবং হুমায়ুন রশিদ চত্বরের হোটেল মার্টিনে অবাধে চলছে পতিতা বাণিজ্য ও জুয়ার আসরসহ অবৈধ নানান কার্যকলাপ। এছাড়াও দক্ষিণ সুরমার ২৬নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন কলোনি এবং বাসায়ও অবাধে চলছে এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ড।
মূলত এএসআই বকুল আহমেদ বর্ণিত স্থানেগুলোতে জুয়ার আসর থেকে পতিতা বাণিজ্যে সহায়তা প্রদানের বিনিময়ে ফাঁড়ি আইসি থেকে থানার ওসির নামে চাঁদা উত্তোলনের গুরুদায়িত্ব পালন করছেন বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করে। এতে আইসি এবং ওসির পকেট যেমন ভারী হচ্ছে তেমনি লাভবান হচ্ছেন এএসআই বকুল আহমেদ।
এদিকে অদৃশ্য কারণে বদলির আদেশপ্রাপ্ত এএসআই এখনো সাবেক কর্মস্থলে থেকে দিনের আলো শেষে অন্ধকার হলেই শুরু করেন ওসি ও আইসির হয়ে অবৈধ লাইনের টাকা উত্তোলন। তাহলে কি সেই কালো টাকার মায়ায় আটকা পরে আছেন এএসআই বকুল আহমেদ। এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সচেতন মহলে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd