সিলেট ৩১শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:২৫ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৩, ২০২৪
মোঃ রায়হান হোসেন:
ভারত থেকে বৈধ পথে গরু আসছে না; কিন্তু বাংলাদেশে ভারতীয় গরুর চাহিদা রয়েছে প্রচুর। আর এ সুযোগটিই নিচ্ছে চোরাকারবারিরা। প্রতি রাতে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ঢুকছে শত শত চোরাই গরু। পেছনে কাজ করে দুই দেশের একটি সংঘবদ্ধ চক্র। দেশের সীমান্তজুড়ে রয়েছে তাদের ‘গরু চোরাচালানের জাল’। ভারতে ২০ হাজার টাকায় কেনা ৪ মণ ওজনের একটি গরু চোরাই পথে দেশে এনে বিক্রি করলে পাওয়া যায় অন্তত এক লাখ টাকা। কিন্তু এমন একটি গরু আনতে খরচ পড়ে ৫০ হাজার টাকার মতো। এর পর ‘চেয়ারম্যান ও বিভিন্ন বাজারের স্লিপ’- এর মাধ্যমে সেই গরু চলে যায় দেশের বিভিন্ন হাটে। ভারতীয় চক্রের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশি একটি চক্র চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ এই ব্যবসা। বছরে তাদের আয় কোটি কেটি টাকা।সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার হাদারপার বাজার ঘুরে মিলেছে এই তথ্য।
এ উপজেলার হাদারপার বাজারে ভারতীয় চোরাই গরুর বৈধতার লাইসেন্স দিচ্ছে আমিন সহ একটি চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট। এর আগে এই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করত আওয়ামী লীগের অন্য একটি গ্রুপ। বৈষম্যহীন ছাত্র-আন্দোলনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট গত (৫ আগষ্ট) পরিবর্তনের ফলে বর্তমানে শুধু সিন্ডিকেট পরিবর্তন হয়েছে। বন্ধ হয়নি চাঁদাবাজি।
জানা গেছে- গোয়াইনঘাট উপজেলার সীমান্ত এলাকা বিছনাকান্দি ও লাখাট সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজর ভারতীয় গরু দেশে প্রবেশ করছে। এ সকল ভারতীয় গরু প্রথমেই বৈধ করার জন্য নেওয়া হয় হাদারপার বাজারে। সেখান থেকে ২ হাজার টাকা নিয়ে রশিদ দিয়ে বৈধতার লাইসেন্স দিচ্ছেন চাঁদাবাজ আমিন সিন্ডিকেট। এক কথায় গোয়াইনঘাটের চোরাই গরুর বৈধ লাইসেন্স আমিন সিন্ডিকেট।
এই চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের সদস্যরা হলেন- গোয়াইনঘাট উপজেলার হাদারপারের (উপরগ্রাম) বাসিন্দা আমিন আহমদ, গুলাম হোসেন ও আব্দুল খালিকসহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এই চক্রের দেওয়া রশিদের ক্ষমতার গুণে প্রকাশ্যে ভারতীয় চোরাই গরুর চালান থানা পুলিশের চোঁখের সামন দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঁচার হলেও অদৃশ্য কারণে নীরব ভূমিকায় প্রশাসন।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গরু ব্যবসায়ী জানান- আমরা নিরুপায় হয়ে তাদেরকে অধিক টাকা দিয়ে এই ব্যবসা করছি। বাজারের ইজারাদার লিয়াকত আলী তিনি কখনও বাজারে না আসলেও উনার নামেই এসকল গরুর রশিদ আমাদের দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিন্ডিকেট প্রধান আমিন আহমদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান- গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের সাংবাদিক মতিন ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করেন। মতিন ভাই এবং মঞ্জুর ভাই সাংবাদিকদের বিষয়টি দেখেন বলে তিনি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।
এ বিষয়ে জানতে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোন রিসিভ করেননি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd