সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৪১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৬, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বিয়ে করাই যেন তার নেশা। একটি দুটি করে তিনি চারটি বিয়ে করেছেন। তবে এবার পঞ্চম বিয়ে করতে পাত্রী খোঁজছেন তিনি। এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন পুলিশের এএসআই আবু নাঈম। তিনি বি:বাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানাধীন জয়নগর গ্রামের মোঃ নুরুল ইসলাম ও আমেনা খাতুনের ছেলে। সে বর্তমানে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা মডেল থানায় কর্মরত আছে। তার এই বিয়ে কান্ডের ঘটনায় এলাকায় ও কর্মস্থলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এএসআই আবু নাঈমের চর্থ স্ত্রী নেহার বেগম নির্যাতনের শিকার হয়ে সিএমপি কমিশনার ও পতেঙ্গা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। এরপর একে একে বেরিয়ে আসে তার সকল অপকর্ম ও গোপন বিয়ের তথ্য। পুলিশের এই এএসআই আবু নাঈম টাকাওয়ালা নারীদের টার্গেট করে। তারপর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর বিয়ের জন্য প্রস্তুতি নেন। পরে তার কাবিনের সময় কনে ও বরপক্ষের কোনো সাক্ষী থাকে না। তার ভাড়া করা লোকজনই এসব বিয়ের সাক্ষী হিসেবে থাকতেন। এভাবেই করেছেন চর্থ স্ত্রী নেহার বেগমের জানামতে চার বিয়ে।
তার গ্রামের বাড়ি বি:বাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানাধীন জয়নগরে রয়েছে এক স্ত্রী। দ্বিতীয় স্ত্রী একজন নারী কনস্টেবল। তাদের সংসারে একটি প্রতিবন্ধি শিশু রয়েছে। এই সংসারে কোন প্রকার ভরণপোষণ না দিয়ে চলে যায়। পরে দ্বিতীয় স্ত্রী বাদি হয়ে চট্রগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-৩৬৬/২০২৪ইং। বর্তমানে মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে। এরপর চট্রগ্রামের পাখি বেগম নামের দুই সস্তানের জননীকে বিয়ে করে। তাকে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি এলাকায় একটি বাংলো বাড়ি বানিয়ে দেয়। পরে এই নারী সাথেও এএসআই আবু নাঈমের মনমালিন্য হওয়ায় ওই নারীর কাছ থেকে দূরে চলে যায়। এরপর নেহার বেগমের সাথে তার পরিচয় হয়। তারপর গড়ে তোলেন প্রেমের সম্পর্ক। নিজের সকল বিয়ের বিষয়টি গোপন রেখে নেহারকে বিয়ে করে। বিয়ের বছর পার হওয়ার আগেই তার সখ জাগে পঞ্চম বিয়ে করার। শুরু হয় নেহারের উপর নির্যাতন। এরপর নেহারকে ছেড়ে চলে যায়। পরে নেহার বেগম তাকে খোজে বের করেন এবং জানতে চান কেন তার সাথে এমন প্রতারণা করা হলো। এরপর তারই সহকর্মীরা তার সকল বিয়ের বিষয়টি নেহার বেগমকে জানায়। পরে তিনি বাধ্য হয়ে তার বিরুদ্ধে সিএমপি কমিশনার ও পতেঙ্গা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, চলতি বছরের গত ৩ মার্চ ইসলামিক বিধান মতে দুই লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহের আগে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তার উপর বিশ্বাস স্থাপন করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। বিবাহের আগে তিনি জানতেন না তার একাধিক বিয়ের বিষয়। শুধু তার একজন স্ত্রী ছিল, কিন্তু সে বলেছিল ওই স্ত্রীকে তালাক দিয়েছে এমকি তালাকনামাটাও নেহারকে দেখিয়েছে। পরবর্তীকে ওই নারী না কি মারা গেছে। তাই তিনি তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিছুদিন আগে আরো জানতে পারেন তার নাকি বিবাহিত আরো ২ জন স্ত্রী রয়েছে। সে যে তার ১ম স্ত্রী মারা গেছে বলে নেহারকে বিয়ে করে। বিবাহের পরেও তাদের সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখে। বিবাদী এই কথা থেকে গোপন রেখে আমার বিশ্বাস ভঙ্গ করে তার সাথে প্রতারণা করে নেহারকে বিয়ে করে। নেহার তাহার বৈধ স্ত্রী।
পরবর্তীতে গত ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে উক্ত থানায় গিয়ে এএসআই আবু নাঈমের সাথে দেখা হয় সে বলে যে, আমি তোমাকে চিনি না এবং আরো বলে যে, তুমি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করিলে আমাকে কিছু করিতে পারিবে না এই বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়, তখন আমি নিরুপায় হয়ে উনার বিরুদ্ধে করি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd