সিলেট ৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৫ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৫৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৮, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে এমপির ছোট ভাইয়ের নেতৃত্বে হামলায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন কর্তৃক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে এ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের মিছিলে এমপি সমর্থক শতাধিক ব্যক্তি এ হামলা চালান বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। হামলাকারীরা বেশকিছু শিক্ষার্থীকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। পরে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আলমগীর কবিরের দোকানঘর ও বাড়িতে ভাঙচুর করেন তারা।
তবে ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুরঞ্জিত তালুকদার বলেন, আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি এমপি রতনের ভাই মোজাম্মেল হক রুকন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ বিলকিছ, সদর ইউপির চেয়ারম্যান সেলিম প্রমুখ হামলায় নেতৃত্ব দেন। শিক্ষার্থীদের ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করলেও উল্টো শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার ধর্মপাশা উপজেলা সদরে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান শেষে জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের আঙিনায় ক্যান্টিন নির্মাণ বিষয় নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মালেককে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। হাজার হাজার মানুষের সামনে প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিবাদে গতকাল উপজেলা সদরে শিক্ষার্থীরা একটি মৌনমিছিল বের করে।
এ বিষয়ে এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের ছোট ভাই মোজাম্মেল হক রুকন বলেন, ঘটনার সময় আমি ধর্মপাশা ছিলাম না।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd