সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৫৩ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০১৭
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল বিজিবি’র উৎপাতে উত্তপ্ত সাতগাঁও বাজার দীর্ঘ ১০ ঘন্টা পর শান্ত হলো।
উপজেলার ২নং ভূনবীর ইউনিয়নের সাতগাঁও বাজারে বিজিবি’র অরাজকতার কারণে গত ৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টা থেকে রাত ২ টা পর্যন্ত ওই এলাকাবাসী ছিলো চরম আন্দোলনমুখি।
অবশেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মোবাশশেরুল ইসলামের নেতৃত্বে শ্রীমঙ্গল সার্কেল এএসপি আশরাফুল ইসলাম ও অফিসার ইনচার্জ কে এম নজরুলের সহযোগিতায়, ইউপি চেয়ারম্যান ভানুলাল রায়, প্রেসক্লাবের সাধারণ সাধারণ এম.ইদ্রিছ আলী,ইয়াছিন আরাফাত রবিন, ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ইয়াহিয়া খাঁন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামাল হোসেন ও ইউ.পি চেয়ারম্যান চেরাগ আলী সহ ব্যবসায়ী ও মিডিয়া নেতৃবৃন্দের চাপের মুখে অবশেষে বেআইনিভাবে জব্দ করা ৩৪৮ বস্তা চা-পাতা ফেরত দিলো বিজিবি’র ৫৫ ব্যাটালিয়নের মেজর মইন উদ্দীন।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় বিজিবি’র ৫৫ ব্যাটালিয়নের মেজর মইন উদ্দীন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মোবাইল ফোনে জরুরী অপারেশনের জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজনীয়তা প্রকাশ করেন।
এরপর বিকাল ৪ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশেকুর রহমানকে লোক পাঠিয়ে গাড়ি করে নেওয়া হয় সাতগাঁও বাজারে। সাতগাঁও বাজারে প্রবেশমাত্রই শুরু হয় বিজিবি সদস্যদের তান্ডব লীলা।
বিজিবি’র অস্ত্রধারী প্রায় ৭০/৮০- জন সৈনিক মিলে বাজারের লিটন স্টোর, শিমুল স্টোর ও বিসমিল্লাহ স্টোরের মালিকদের দূরে সরিয়ে রেখে কোন কাগজপত্র না দেখেই গুদামের তালা ভেঙ্গে বেআইনীভাবে অবৈধ চা-পাতার বলে বস্তার পর বস্তা চা-পাতা জব্দ করতে শুরু করে।
এসময় ওইসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকরা তাদের নিলামে কেনা চা-পাতার বৈধ কাগজপত্র নিয়ে আসলেও বিজিবি সদস্যরা তা দেখতে রাজি হয়নি। বিজিবি’র অমানবিক আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে এক পর্যায়ে ম্যাজিস্ট্রেট আশেকুর রহমান ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যান।
তখনই বেঁধে যায় হট্টগোল। বাজারবাসী একাট্টা হয়ে বিজিবি’র গাড়ি ঘেরাও করে আটকে রেখে এমপি, ইউএিনও, পুলিশ, চেয়ারম্যান, সাংবাদিকসহ ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে রাত ৯ টায় ঘটনাস্থলে গেলে সাংবাদকর্মীদের প্রবেশে বাাঁধা দেয় বিজিবি। তারা চেয়ারম্যান, পুলিশ ও ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দের কোন কথা শুনতে রাজি হয়নি। পরে ক্যামেরার সামনে অন দ্যা রেকর্ডে ঘটনার বিবৃতি জানতে চাইলে বিজিবি’র ৫৫ ব্যাটালিয়নের মেজর মইন উদ্দীন কোন সঠিক বক্তব্য দিতে না পেরে উক্ত ঘটনার সমাধানে আসেন এবং ব্যবসায়িদের জব্দ করা ৩৪৮ বস্তা চা-পাতা ফেরত দেয় বিজিবি।
বিজিবি’র এহেন ঘটনার তীব্র নিন্দা কঠোর প্রতিবাদ করে বিবৃতি প্রদান করেছেন শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ি সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেন।
এদিকে বিজিবি কর্তৃক সৃষ্ট সাতগাঁও বাজারে অপ্রীতিকর ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতর জন্য বৃহস্পতিবার রাত ২টায় শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মোবাশেরুল ইসলাম বিজিবি’র হয়ে সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে বিষয়টি উভয়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করলে দীর্ঘ ১০ ঘন্টা পরে উত্তপ্ত সাতগাঁও বাজার শান্ত হয়।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd