সিলেট ৩১শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:৫৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০১৭
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভায় মঞ্চে উঠেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। প্রায় দেড় বছর পর ঢাকায় রোববারের এই সমাবেশে তিনি ‘গুরুত্বপূর্ণ বার্তা’ দেবেন বলে বিএনপি নেতারা বলে আসছেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সর্বশেষ গত বছরের ১ মে শ্রমিক সমাবেশে বক্তৃতা দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সেটা ছিল শ্রমিক দলের কর্মসূচি। ঢাকায় বিএনপির প্রকাশ্য কর্মসূচিতে তার সর্বশেষ অংশগ্রহণ গত বছরের ৫ জানুয়ারি নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের জনসভায়।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রোববার বেলা ২টায় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে জনসভা শুরু হয়।
এক ঘণ্টা পর খালেদা জিয়া সমাবেশস্থলে পৌঁছলে চার দিক থেকে তার নামে স্লোগান ওঠে। তিনি হাত উঁচিয়ে নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছার জবাব দেন।
মঞ্চের পেছনে লাগানো ব্যানারে লেখা আছে- ‘৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে জনসভা’।
৭ নভেম্বর ‘বিপ্লব ও জাতীয় সংহতি দিবস’ উপলক্ষে এই সমাবেশ ডাকা হলেও এতে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি যে গুরুত্ব পাচ্ছে, তা বিএনপি মহাসচিবের কথায় স্পষ্ট।
তিনি শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “শুধু জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালনই এই গণসমাবেশের মূল লক্ষ্য নয়; সেই সঙ্গে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনবার জন্যে চলমান যে আন্দোলন, সেই আন্দোলনকে সুসংহত করবার ক্ষেত্রে, জনগণের কাছে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার যে মেসেজ… বা তিনি যে বাণী দেবেন- সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে সমগ্র দেশের সচেতন মানুষ মনে করে।
“আমরা মনে করি, এই গণসমাবেশ থেকে দেশেনত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কাছ থেকে জাতি যা পাবে, সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ হবে।”
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনকালীন সময়ে ‘সহায়ক সরকারের’ দাবি জানিয়ে আসছে। বিএনপি নেত্রী ‘যথাসময়ে’ সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেবেন বলেও বলে আসছেন দলটির নেতারা।
এই সমাবেশে জনসমাগম ঠেকাতে ঢাকার আশপাশের জেলাগুলো থেকে সরকার পরিকল্পিতভাবে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
জনসভার জন্য উদ্যানে ৬০ ফুট লম্বা ও ৩০ ফুট প্রশস্ত মঞ্চ নির্মাণ করেছে বিএনপি। মঞ্চের চারপাশে বসানো হয়েছে সিসি টিভি ক্যামেরা। মঞ্চের সামনে ৩০ ফুট জায়গায় বেষ্টনি দেওয়া হয়েছে।
পুরো জনসভা সুশৃঙ্খল রাখতে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের দুই হাজারের বেশি নেতাকর্মীদের নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করা হয়েছে।
মহাসচিব মির্জা ফখরুল এই জনসভার পুরো কার্যক্রম সমন্বয় করছেন। তাকে সহযোগিতা করছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশ-পাশের এলাকায় সাজানো হয়েছে নানা রঙের ব্যানার-ফেস্টুনে। এসব ডিজিটাল ব্যানারে দেখা যাচ্ছে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি।
এই সমাবেশ করতে ঢাকা মহানগর পুলিশ ২৩ শর্ত দিয়েছে বিএনপিকে।
এতে বলা হয়েছে, সমাবেশের কারণে সড়কে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা যাবে না, কর্মসূচি শেষ করতে হবে বিকাল ৫টার মধ্যে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd