আটককৃতরা হলো- বিশ্বনাথ নতুন বাজার সিএনজি অটোরিক্সা স্ট্যান্ডের সভাপতি ও উপজেলা জানাইয়া মসুলা গ্রামের মৃত সমছু মিয়ার পুত্র ময়না মিয়া (৫৫), জানাইয়া (নতুন বাজার) এলাকার বাসিন্দা জিতিন্দ্র কুমার দেব’র পুত্র আরান কুমার দেব (৪৫), উপজেলার দশপাইকা গ্রামের ইউসুফ আলীর পুত্র আসক আলী (৩৫), একই গ্রামের মৃত মোবারক আলীর পুত্র চান্দ আলী (৫৫), সিংগেরকাছ মাঝগাঁও গ্রামের মন্তাজ আলীর পুত্র মানিক মিয়া (৪০), বিশ্বনাথে কালিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা, হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার ভোগখলা গ্রামের দরবেশ আলীর পুত্র সুহেল মিয়া (২৭) ও সুনামগঞ্জ জেলার বিশম্ভরপুর থানার গ্রামেরতলা গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের পুত্র শুকুর আলী (২৮)।
পুলিশ জানায়, রমজান মাসের শুরু থেকে উপজেলা সদরের সেবা কমিউনিটি সেন্টারের পিছনে একটি কলোনীতে প্রতি রাতে বিশাল জুয়ার আস্তানা বসে আসছে এমন সংবাদ পেয়ে বিশ্বনাথ থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) দুলাল আকন্দ এর নেতৃত্বে থানা পুলিশের বিশাল একটি টিম বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় ওই আস্তানায় অভিযান চালায়। এসময় ৭ জুয়াড়িকে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হলেও আরো ২০/২৫ জন জুয়াড়ি দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। আটককৃতদের কাছ থেকে নগদ ১৩হাজার ৭শত টাকা ও তাস’সহ জুয়ার বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অমিতাভ পরাগ তালুকদার। এসময় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জুয়ার আস্তার পার্শ্ববর্তি কলোনীর বাসিন্দা শুকুর আলীকে নগদ ১শত টাকা অর্থদ- ও অন্য ৬জনের প্রত্যেককে ১০দিনের কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
আটক ও সাঁজা প্রদানের সত্যতা নিশ্চিত করে থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, বিশ্বনাথ উপজেলাকে জুয়া ও মাদক মুক্ত রাখতে পুলিশ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। কিছুতেই বিশ্বনাথে জুয়া ও মাদক চলতে দেওয়া হবে না।