সিলেট ৩১শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৩০ পূর্বাহ্ণ, জুন ১, ২০১৮
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের মিয়ারচর,সত্রীশ,মনবেগ গ্রাম সংলগ্ন যাদুকাটা নদীতে চলছে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন। এই ড্রেজার মেশির চলার কারনে হাজার হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে মানবতের জীবন যাপন করেছে। সেই সাথে নদীর তীরবর্তী দুই শতাধিক গ্রাম গুলো পড়েছে হুমকির মুখে। এব্যাপারে সুযোগ্য সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপারের একটু সু দৃষ্টি আকর্শন করছে এলাকাবাসী।
জানাযায়,মিয়ারচর,সত্রীশ,মনবেগ গ্রাম সংলগ্ন যাদুকাটা নদীতে বালু উত্তোলন করার হুমকির মুখে পড়েছে ৩টি গ্রামের নদীর তীরবর্তী হাজার হাজার বাড়ি-ঘর। বালু উত্তোলনের সময় মেশিনের প্রচন্ড শব্দে পড়া শুনা করতে পারছে না এই এলাকার হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা। কর্মহীন হয়ে মানবেত জীবন যাপর করছে প্রায় দশ হাজারের বেশী শ্রমিক। মিয়ারচড়,সত্রীশ,মনবেগ গ্রামের ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার শতাধিক ড্রেজার মালিকরা প্রতিদিন দিনে ও রাতে শত শত বড় বড় ষ্টীলবডি নৌকায় সংগব্ধ হয়ে স্থানীয় চাঁদাবাজদের সহযোগীতায় প্রতি নৌকা ১০থেকে ১২হাজার টাকা বিনিময়ে বালি উত্তোলন করছে ষ্টীল বড়ি লোড করে দিচ্ছে। এই বিষয়ে যারা অভিযোগ করে ঐ সব ড্রেজারের মালিক ও চাদাঁবাজরা একত্রিত হয়ে তাদের উপর চড়াও হয়।
এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান,মিয়ারচড়,সত্রীশ,মনবেগ ৩টি গ্রাম সংলগ্ন যাদুকাটা নদীতে শত শত ষ্টীলের তৈরী বড় বড় নৌকা নোঙ্গর করে রাখা থাকে সারাক্ষন। বেশীর ভাগ সময় রাতে শতাধিক ড্রেজার মেশির দিয়ে বালু ও পাথর উত্তোলন করে। কিছু বললে আমাদের বিভিন্ন মামলার ভয় দেখায়। ড্রেজার সরকারী ভাবে নিশিদ্ধ হলেও এখানে কি ভাবে চলে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন দেখেও যেন দেখে না। রফিক,কালাম শরিফসহ মিয়ারচড়,সত্রীশ,মনবেগ গ্রাম সংলগ্ন নদীতে কর্মরত হাজার হাজার শ্রমিকরা অভিযোগ করে বলেন,আমরা বালু নদী থেকে উত্তোলন করি। কিন্তু ড্রেজান মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করায় হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ে আছি। আর ড্রেজার মেশিন চলা ত সরকারী ভাবে নিশিদ্ধ তার পরও প্রতি নৌকা ১০-১২হাজার টাকা দিতে শত শত বড় বড় ষ্টীল বডি নৌকায় বালু ভরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠাচ্ছে সংগ্রবদ্ধ চক্র। তারা আরো বলেন,এত টাকা চাঁদা উঠে সেই টাকা কে কার ইশারায় উঠাচ্ছে কোথায় যায় সেই টাকা। কারোর কোন মাথা ব্যাথা নেই। আর আমরা এক বারেই বেকার হয়ে পড়েছি অবৈধ ড্রেজার মেশিন বন্ধ করে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন বাচাঁর সুযোগ করে দেবার দাবী জানান শ্রমিকগন। এব্যাপারে তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) নন্দন কান্তি ধর জানান,মিয়ারচড়,সত্রীশ,মনবেগ গ্রাম সংলগ্ন নদীতে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন চলার খরব পেয়ে তা বন্ধ করে দিয়েছি। অবৈধ ভাবে কোন ড্রেজার চলার কোন সুযোগ কেউ পাবে না। যারা চালাবে তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd