সিলেট ৩১শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:২৭ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১২, ২০১৮
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট নগরীর বন্দর বাজার এলাকায় মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর পোস্টার লাগানোর সময় এক কর্মীকে মারধর করে পুলিশে দিয়েছে কয়েকজন যুবক বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আটককৃত এই শ্রমিককে ছাড়াতে পুলিশকে অনুরোধ করলেও তাকে না ছাড়ায় বন্দর বাজার ফাড়ির সামনে অনশন শুরু করেন সিলেটের সদ্য সাবেক সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
বুধবার রাত সোয়া ১২টা থেকে তিনি অনশন শুরু করেন। পরবর্তীতে নৌকার প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের সাথে কথা বলেন আরিফ। এমনটা জানিয়েছেন কোতোয়ালী থানার ওসি। দুই মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ফোনালাপ শেষে আটককৃত শ্রমিককে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান ওসি মোশাররফ হোশেন। পুলিশ ঐ শ্রমিককে ছেড়ে দিলে অনশন ভেঙ্গে বাসায় ফিরেন আরিফ।
ঘটনার ব্যপারে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি মাহবুবুল হক চৌধুরী জানান- রাত ১২টার দিকে বন্দর বাজার হাসান মার্কেটের কাছে আরিফুল হকের পোস্টার লাগাচ্ছিলেন তিনজন শ্রমিক। এসময় কয়েকজন যুবক তাদেরকে নৌকার পোস্টার কেন ছিড়ছে, এমন প্রশ্ন করে। এসময় উত্তরে তারা বলে আমরা ধানের শীষে লাগাচ্ছি, নৌকার পোস্টার আমরা ছিড়িনি। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকটি শুরু হয়। যুবকরা তখন লোকমান নামের এক শ্রমিককে মারধর করে। মারধরের পর তারা বন্দর বাজার ফাড়ির পুলিশকে খবর দেয়। নৌকার পোস্টার ছেড়ার অভিযোগ এনে লোকমানকে পুলিশ আটক করে ফাড়িতে নিয়ে যায়।
এ ঘটনার খবর পেয়ে সোয়া ১২টার দিকে আরিফুল হক চৌধুরী বন্দর বাজার ফারিতে ছুটে যান। তিনি শ্রমিক লোকমানকে ছেড়ে দিতে পুলিশকে অনুরোধ করেন কিন্তু পুলিশ তাকে ছাড়েনি। পরে সাবেক মেয়র কামরানের সাথে আলাপ করে সৃষ্ট ঘটনার সমাধান হয় এবং পুলিশ ঐ শ্রমিককে ছেড়ে দেয়।
এ ব্যপারে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন- তিনি নিরপরাধ শ্রমিককে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেন। কিন্তু পুলিশ তাকে ছাড়েনি। তাই তিনি এর প্রতিবাদে সেখানেই অবস্থান নেন। এসময় শ্রমিককে না ছাড়া পর্যন্ত তিনি সেখানেই অনশন করবেন বলেও ঘোষণা দেন। পরে, পুলিশ ঐ শ্রমিককে ছেড়ে দিলে তিনি অনশন ভেঙ্গে বাসায় ফিরে যান।
ঘটনার ব্যপারে কোতোয়ালী থানার ওসি মোশাররফ হোসেন বলেন- ভুল বোঝাবুঝিতে নৌকার পোস্টার ছেড়ার অভিযোগে এক যুবককে পুলিশের কাছে তুলে দেয় পথচারী কয়েকজন যুবক। পুলিশ তাকে ফাড়িতে নিয়ে এলে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী তাকে ছাড়াতে আসেন। পরে সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের সাথে আলাপ করে তারাই ভুল বোঝাবুঝির সমাধান করেন। এরপর পুলিশ ঐ যুবককে ছেড়ে দেয়।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd