সিলেট ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:৪১ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৪, ২০১৮
স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ (সিওমেক) হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসক দ্বারা রোগীর কিশোরী স্বজনকে ধর্ষণের অভিযোগে তদন্তের সময় বৃদ্ধির আবেদন করেছে তদন্ত কমিটি।
মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) সিওমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার এ কে এম মাহবুবুল হক বরাবর এ আবেদন করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসমানী হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. দেবব্রত রায়। তদন্ত কমিটির প্রধান হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগীয় প্রধান ডা. এন.কে. সিনহা বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আরো ১৫ দিন সময় চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, যেহেতু অভিযুক্ত এখন কারাগারে আছেন তাই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের অনুমতি লাগবে। এছাড়া ভিকটিমকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। আর এতে আরো কিছু সময় প্রয়োজন। তাই তদন্তের সময় বৃদ্ধির আবেদন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ক্লিনিক্যাল রিপোর্ট এসেছে কিনা জানতে চাইলে ডা. এন.কে. সিনহা বলেন, ক্লিনিক্যাল রিপোর্টটি ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে বলে জেনেছি। তবে এখনো আমরা সেটা দেখিনি। কয়েকদিনের মধ্যেই রিপোর্টটি পর্যালোচনা করতে আমরা সেখানে যাবো।
এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আশা রাখি এই ১৫ দিনে আমরা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারবো।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই ভোরে সিওমেক হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসক মাকামে মাহমুদ হাসপাতালের তৃতীয় তলার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের এক রোগীর স্বজনকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠে। পরবর্তীতে ভিকটিমের স্বজন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বৈঠকের পর অভিযুক্ত মাহমুদকে পুলিশে স্থানান্তর করেন। পরে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে সিলেটের কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনার পরদিন ১৭ জুলাই হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগীয় প্রধান ডা. এস কে সিনহাকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেসময় কমিটিকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
অভিযুক্ত মাকামে মাহমুদ ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা এলাকারা মোখলেছুর রহমানের ছেলে। তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেলের ৫১ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd