ওসমানীতে কিশোরীকে মিলেছে ধর্ষণের আলামত : মীমাংসার চেষ্ট

প্রকাশিত: ৬:১৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৫, ২০১৮

ওসমানীতে কিশোরীকে মিলেছে ধর্ষণের আলামত : মীমাংসার চেষ্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ (সিওমেক) হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসক দ্বারা রোগীর কিশোরী স্বজনকে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া  গেছে বলে বলছে পুলিশ।

হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ওই ছাত্রীকে পরীক্ষার রিপোর্ট মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসাইন ভূঁইয়া।

এদিকে ঘটনার পর থেকে ধর্ষণের শিকার হওয়া কিশোরীর বাবাকে বিষয়টি মীমাংসা করে নিতে অভিযুক্তের পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার যোগাযোগ করছে বলে দাবি করছেন কিশোরীর স্বজনরা।

এদিকে, মঙ্গলবার সিওমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার এ কে এম মাহবুবুল হক বরাবর ধর্ষণের অভিযোগে তদন্তের সময় বৃদ্ধির আবেদন করে আরও ১৫ দিনের সময় চেয়েছে তদন্ত কমিটি।

ধর্ষণের সত্যতার ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকবর বলেন, ওসিসি থেকে ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট পুলিশের কাছে দেওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্টে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া গেছে।

তবে বিষয়টি আবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য সিআইডির ফরেনসিক ডিপার্টমেন্টে পাঠানো হবে ২/১ দিনের মধ্যেই। এছাড়া ভিকটিম এবং সেই ইন্টার্ন চিকিৎসকের ডিএনএ স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান এসআই আকবর।

মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে আকবর বলেন, পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছে। ইতোমধ্যে ভিকটিম আদালতে ২২ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে ঘটনা বর্ণনা করেছে। সিআইডি থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পর পুলিশ বিষয়টি নিয়ে আরও এগিয়ে যাবে।

তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির প্রধান হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগীয় প্রধান এন.কে. সিনহা বলেন, যেহেতু অভিযুক্ত এখন কারাগারে আছেন তাই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের অনুমতি লাগবে। এছাড়া ভিকটিমকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। আর এতে আরও কিছু সময় প্রয়োজন। তাই তদন্তের সময় বৃদ্ধির আবেদন করা হয়েছে।

মীমাংসার ব্যাপারে মেয়েটির বাবা বলেন, ঘটনাটি মীমাংসা করার জন্য চিকিৎসক মাহির পরিবার আমাদের সঙ্গে বসার জন্য অনেকবার অনুরোধ জানিয়েছে। এমনকি তারা সিলেটের প্রভাবশালী কয়েকজনের কাছে গিয়ে এ বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য চাপ দিচ্ছে। তারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলেও আমি তাদের প্রস্তাবে রাজি হননি বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত,  গত ১৫ জুলাই রাত দেড়টার দিকে ওসমানী মেডিকেলের নাক-কান-গলা বিভাগের ইন্টার্ন চিকিৎসক মাকামে মাহমুদ মাহি নবম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে (১৪) ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। মেয়েটি তার নানির সঙ্গে হাসপাতালে ছিল। ফাইল দেখার কথা বলে মাহি মেয়েটিকে তার রুমে নিয়ে যান বলে অভিযোগ করে তার পরিবার।

ঘটনার পরদিন ১৬ জুলাই ধর্ষণের অভিযোগে মাহিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই দিনই মেয়ের বাবা কোতোয়ালি থানায় মাহির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।

ইন্টার্ন চিকিৎসক মাকামে মাহমুদ ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার মোখলেছুর রহমানের ছেলে। তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেলের ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..