জগন্নাথপুরে রাতের আধারে ঘরে ডুকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে এসিড নিক্ষেপ

প্রকাশিত: ৪:৪৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৭, ২০১৮

জগন্নাথপুরে রাতের আধারে ঘরে ডুকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে এসিড নিক্ষেপ

ডেস্ক নিউজ :: সুনামগঞ্জ জেলার প্রবাসী অধ্যুসিত জগন্নাথপুর উপজেলার ইসমাইল চক গ্রামে পূর্ব শক্রতার জের ধরে সাইদুল মিয়ার স্ত্রীকে রাতের আধারে কৌশলে ঘরে ডুকে ধর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়ে এসিড নিক্ষেপ করে পা জলসে দেয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ব্যপারে নির্যাতিত নাদিয়া বেগমের মা শিবলী বেগম জগন্নাথপুর থানায় মামলা করতে না পেরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল সুনামগঞ্জে একটি পিটিশন মোকদ্দমা দায়ের করেন। ২৫/০৭/২০১৮ইং আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে জগন্নাতপুর থানাকে এফ আই আর গন্নে মামলার রুজুু কারার নির্দেশ দেন।

জানাযায়, মামলার বাদীনি শিবলী বেগমের মেয়ে নাদিয়া বেগমকে একি গ্রামের চন্দু মিয়ার পুত্র জুনু মিয়া প্রায় এক বছর পূর্বে বিবাহর জন্য প্রস্তাব দেয়। কিন্তু জুনু মিয়া এলাকায় খারাপ প্রকৃতির লোক হওয়ায় তার কাছে মেয়ে কে বিবাহ দিতে রাজি হননি নাদিয়া বেগমের পরিবার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জুনু মিয়া তার সহযোগীদের নিয়ে প্রায় সময় নাদিয়া বেগমকে হুমকি দমকি প্রধান অশালীন মন্তব্য এমনকি কু-প্রস্তাব ও দিত প্রতিনিয়ত। জুনু মিয়ার এসব কর্মকান্ড তার অভিবাবকদের জানালে এক পর্যায়ে নাদিয়া কে অপহরন করে বিয়ে করবে মর্মে হুমকি প্রদান করে জুনু মিয়া ও তার সহযোগীরা। এসব হুমকিতে ভিত হয়ে ছাতক থানার শিংশাক্ষইল গ্রামের সুহেল মিয়ার পুত্র সাইফুল মিয়ার কাছে ঘটনার প্রায় সাত মাস পূর্বে সাদিয়াকে বিবাহ দিয়ে দেন তার পরিবার। বিবাহের পর সুখেই খাটছিল তাদের সংসার জীবন। এদিকে নাদিয়াকে বিবাহ দেওয়ার পর থেকে আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয় জুনু মিয়া নাদিয়ার ক্ষতি করতে বিভিন্ন সুযোগ খুজতে থাকে সে। সম্প্রতি নাদিয়া ও তার স্বামী শশুর বাড়িতে বেড়াতে আসেন ১৫ জুলাই ২০১৮ইং নাদিয়া ও তার স্বামী মা শিবলি বেগমের ঘরে প্রতিদিনের মত ঘুমিয়ে পড়েন, রাত প্রায় ১২:০০ ঘটিকার দিকে, বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়লে অভিযোক্ত জুনু মিয়া তার সহযোগীদের নিয়ে কৌশলে নাদিয়া ও তার স্বামী যে রুমে ঘুমিয়ে ছিল সে রুমের দরজা খুলে প্রবেশ করে নাদিয়া কে তারা ধর্শনের চেষ্টা করে এসময় নাদিয়া চিৎকার শুরু করলে পাশে থাকা তার স্বামী সাইদুল মিয়া লাইট জালালে জুনু মিয়া তার হাতে থাকা বোতল থেকে এসিড নাদিয়ার শরিলে নিক্ষেপ করে। এতে তার শরিলের বিভিন্ন অংশ জলসে জায় এবং তার বা পা পুরুটাই জলসে জায়। এক পর্যায়ে তাদের অ¯্ররে ভয় দেখিয়ে পালিয়ে জায় জুনু ও তার সহযোগীরা। নাদিয়ার চিৎকারে আসপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরন করেন। নাদিয়ার শরিলের বিভিন্ন অংশ জলসে জাওয়ায় সে এখন ও আশংক্ষাজনক অবস্থায় চিকিৎসাদিন রয়েছে। ঘটনার পর পরই নির্যাতিতার মা জগন্নাথপুর থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানার ওসি হারুনুর রশীদ চৌধুরী মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। নিরুপায় হয়ে নাদিয়া বেগমের মা শিবলি বেগম মেয়ের নির্যাতনের বিচার চেয়ে জুনু মিয়া ও তার সহযোগী হাবিব মিয়া, বাদশা মিয়া, মুরছালিন মিয়া ও আবুল মিয়াকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। নাদিয়া বেগমের মা মামলার বাদীনি শিবলী বেগম এই প্রতিবেদকের সাতে আলাপকালে বলেন মামলার দায়েরের পর থেকেই জুনু মিয়া ও তার সহযোগীরা আরো ব্যপরোয়া হয়ে উটছে। প্রাণ নাশের হুমকি সহ ঘর পুরিয়ে দেওয়ার হুমকি ও দিচ্ছে বলে জানান এই ভুক্তবুগি। এ ব্যপারে শিবলি বেগম ভয়ংকর এসব অপরাধিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে প্রশাসনের প্রতি আকুল আবেদন জানিয়েছেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..