সিলেট ৩১শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:২৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২, ২০১৮
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: সিলেটের গোয়াইনঘাটে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে গরু চোরেরা। তাদের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে এলাকার মানুষ। প্রতিরাতেই কোনো না কোনো এলাকায় হানা দিচ্ছে সংঘবদ্ধ চোরের দল। চলতি মাসে প্রায় অর্ধশতাধিক গরু চুরি হয়েছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে। গভীর রাতে গোয়াল ঘর থেকে গরু চুরি করে নৌকায় উঠিয়ে নিয়ে যায় চোরেরা। পুলিশের নজরদারির অভাব আর রাত্রিকালীন টহল না থাকার কারণে চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না বলে অনেকের অভিযোগ। সংঘবদ্ধ চোরের দল নানা কৌশলে চুরি করে যাচ্ছে। তারা হলেন গোয়াইনঘাট থানাধীন এলাকার খন্নি গ্রামের টুনু মিয়া , গুরুচি গ্রামের মাসুক , দাড়িখেল হাওয়রের মৃত আ¤র অলীর ছেলে অছদ্দর, ইমাম দাড়িখেল হাওয়র, হেলাল ,হান্নান, বিলাল, ছোট খেল গ্রামের জয়নাল , আটগামের আং নুর।
এদের কারনে এলাকার কৃষকদের রাতের ঘুম হারাম রাত জেগে গরু পাহারা দিতে হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনি কোন প্রদেক্ষপ নেওয়া হচ্ছেনা বলে জানিয়েছে স্থানীয় এলাকার শান্তিকামী মানুষজন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি উপজেলার আইডর গ্রামে নৌকা নিয়ে গরু চুরি করতে গেলে এলাকার মানুষের তাড়া খেয়ে নৌকা ও ২ টি মোবাইল রেখে পালিয়ে যায়। ওই মোবাইল গুলো হলো দোয়ারীখেলের আছদ্দর ও গোরচির মাসুকের। বর্তমানে নৌকা মোবাইল গোয়াইনঘাট থানায় আটক আছে বলে জানা গেছে।
এলাকার মানুষ গরুর দুধ বিক্রি করে পরিবারের খরচের টাকা যোগায়। কৃষি নির্ভর পরিবারগুলো গরু দিয়ে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে। আর গরু চোরেরা যখন এসব মূল্যবান গরু চুরি করে নিয়ে যায় তখন হতদরিদ্র এসব পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে পড়ে।
ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক ব্যক্তি জানান, গরুর ঘর থেকে রশি কেটে অথবা খুলে গরু গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। রাতে গাড়ির ভেতরে গরু দেখলে আটক করতে ভয় পায় জনতা। কারণ পুলিশি হয়রানির শিকার হতে হয়। ফলে কাউকে আটক করা হয় না। যে কারণে সহজে পার পেয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোরের দল।
গত কয়েক মাস ধরে পূর্ব ও পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় অর্ধশত গরু চুরি হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে মধ্য ৩ নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের রুহুল আমিনের ৪ টি গরু, পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের মনরতল গ্রামের আহমদ আলীর ২টি, মৃত নূরুছাপার ২টি, মো. লেদুর ২টি এবং ইয়াছিনের মায়ের ২টি।
গরু চুরি বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল জলিল বলেন, থানায় গরু চুরির কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd