সিলেট ৩১শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:২৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৯, ২০১৮
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: হাইর্কোট ও বোর্ডের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সাবেক প্রধান শিক্ষককে যোগদান না করাতে নানান ফন্দি করছেন সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বালিজুড়ী এলাহী বক্স উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি। কৌশলে এড়িয়ে যাচ্ছেন ভারপ্রপ্ত প্রধান শিক্ষকও বিদ্যালয়ের সাথে সম্পৃক্ত কিছু স্বার্থনেশী মহল। গত চার মাসের অধিক সময় ধরে ভুক্তভুগি শিক্ষক প্রশাসনের দ্বাওে দ্বারে ঘুরে ক্লান্ত মানুষ গড়ার কারিগর সিদ্দিকুর রহমান। সাবেক এই প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমানকে সর্বশেষ ১লা আগষ্ট থেকে ১০দিনের মধ্যে স্বপদে বহাল করে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য হাইকোটের নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যালয় ম্যানিজিং কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন সিলেট মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তার কার্য্যালয়ে ডেকে নিয়ে। সে নির্দেশনা অনুযায়ী এই কমিটি সভাপতি একাধিক বার কমিটির অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে বসলে সবাই সম্মতি পোষন করেন। কিন্ত সভাপতি এতে রাজি নয়। এরপর একাধিবার যোগাযোগ করেও কোন সমাধান না হওয়ায় গত বুধবার ৮জুলাই সকালে বালিজুড়ী এলাহী বক্স উচ্চ বিদ্যালয়ের যোগদান করতে গেলে শুরু হয় নানান তালবাহানা। সাবেক প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমানকে যোগদান না করাতে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন ভারপ্রাপ্ত্য প্রধান শিক্ষক ফাহিমা আক্তার ও ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি আবুল খায়ের। সাবেক প্রধান শিক্ষককে যোগদান থেকে বিরত রাখার জন্য স্কুলে প্রধান শিক্ষকরে দায়িত্ব দেওয়া আব্দুল হাই নামে একজন সহকারী শিক্ষককে। তার কাছে যোগদানের পত্র সাবেক প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির গুলেনুর মিয়া,ডাঃ আব্দুল মতিন,আবুল হোসেনসহ কয়েকজন সদস্যরা দিতে চাইলে ঐ শিক্ষক অপরাগতা প্রকাশ করেন। এসময় তারা জানতে চাইলে তিনি বলেন,ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফাহিমা খাতুন নিষেধ করেছেন যোগদান পত্র গ্রহন না করার জন্য।
এবিষয়ে স্কুলে প্রধান শিক্ষকরে দায়িত্ব দেওয়া আব্দুল হাইয়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমাকে বলা হয়েছে শুধু বিদ্যালয়ের ক্লাস করার জন্য। অন্যকোন কাজ বার কারো কোন কাগজ গ্রহন করা নিষেধ করেছেন ভারপ্রাপ্ত্য প্রধান শিক্ষক ফাহিমা আক্তার। আমি ফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি না করেন। আমি আর কি করব। বালিজুরী এলাহীবক্স উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান বলেন,বুধবার বালিজুরী এলাহী বক্স উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির কয়েকজন সদস্য নিয়ে বিদ্যালয়ে যোগদানের জন্য যোগদান পত্র দিতে গেলে নানান কথা বলে দায়িত্ব প্রাপ্তরা। আমাকে ফিরেয়ে দেওয়া হয় আবার। তারা হাইকোর্টের রায় ও মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কতৃক প্রেরিত নির্দেশনা মান্য করে আমাকে বিদ্যালয়ে স্বপদে বহাল করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন কিন্তু বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি হাইকোর্ট ও সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্যারের নির্দেশনাকে পরোয়াই করছে না। গত চার মাস ধরেই এই নাটক করছে। আমি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষসহ সবার দারে দারে গুরে ক্লান্ত হয়ে পরেছি।
উল্লেখ্য,১৭,০১,১৭ইং তারিখে চাকুরী চুতি করেন। এই বিষয়ে হাইকোর্টে রিট মামলা নং ১৫৪৩৩দায়ের পর ৩সদস্য বিশিষ্ট্য একটি তর্দন্ত কমিটির তদর্ন্তে ভিত্তিত্বে হাইকোর্ট ৯০দিনের মধ্যে স্বপদে বহাল করার জন্য নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে। তার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা র্বোড ০৫,০৩,১৮ইং তারিখে হাইকোর্টের রায় বাস্থবায়নের জন্য একটি পত্র দেওয়া হয় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকে। কিন্তু কমিটি তা অমান্য করে। এরপর আবারও ০২,০৪,১৮ইং পুনরায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা র্বোড সিলেট চেয়ারম্যান বরাবর মহামান্য হাইকোর্টের রায় বাস্থবায়ন করার জন্য আবেদন করেন। এই আবেদনে সুনামগঞ্জ ১আসনের এমপি সাহেবের সুপারিশ ও ছিল। সেই আবেদনের কোন প্রতিকার না পেয়ে আবার হাইকোর্টে রিট মামলা নং ৭৭৫৫/২০১৮দায়ের করেন। সেখানেও মহামান্য হাইকোর্ট ৩০দিনের মধ্যে পূর্ন বহাল করার রায় প্রধান করেন। রায় বাস্থবায়নের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা র্বোড সিলেট আবেদন করেন চাকুরী চুত প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান। এরপর আবারও সিলেট মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ম্যানিজিং কমিটির সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে তার কার্য্যালয়ে ডেকে নিয়ে হাইকের্টের নিদের্শ মানার জন্য বলেন এবং দশ দিনে সময়দেন না হলে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন। বলে তার আদেশক্রমে সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সচিব মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্বাক্ষরিত একটি (স্বারক নংঃ সিশিবো/প্রশা-২১/আঃ আঃ কঃ/৬৭৩)চিঠি দেওয়া হয় সিদ্দিকুর রহমানকে ১লা আগষ্ট থেকে ১০দিনের মধ্যে স্বপদে বহার করার জন্য নির্দেশদেন। তাও মানতে নারাজ ঐ ম্যানিজিং কমিটি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd